৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রেশন দুর্নীতি তদন্তে সল্টলেকের বিসি ব্লকে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে ইডি

High News Digital Desk:

রেশন দুর্নীতি তদন্তে সল্টলেকের বিসি ব্লকে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে ইডি:

রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার তদন্তে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে পৌঁছেছেন ইডির তদন্তকারীরা। আগে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। আর এবারে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন ইডি কর্তারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মাঠে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যেই আট জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। এ দিন মন্ত্রীর সল্টলেকের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে পৌঁছন সল্টলেকের বি সি ব্লকে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে সেখানেই রয়েছেন তাঁরা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মারফত। বাকিবুরকে জেরায় ক্লু ইডির হাতে। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুরের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়ের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা নিয়েই তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। হোটেল, রেস্তোরাঁ, পানশালা, চালকল তো ছিলই। এবার আরও সম্পত্তির হদিশ। ৯৫ জায়গায় ১০৩২ কাঠা জমি। বাজারদর প্রায় ১০০ কোটি, দাবি এজেন্সির।  মন্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রেকর্ড করা হচ্ছে বয়ানও। কীভাবে খাদ্য দফতরের নথি বাকিবুরের কাছে গেল? রেশন চুরির ব্যাপারে মন্ত্রীর কী পদক্ষেপ ছিল তাও জানতে চাওয়া হচ্ছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, পুরনিয়োগ মামলায় তদন্তের রেশ ধরে সম্প্রতি রেশন দুর্নীতির হদিশ পান ইডি আধিকারিকরা। গ্রেফতারও হয়েছেন নদিয়ার এক চালকলের মালিক বাকিবুর রহমান। তাঁকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। আগামী শনিবার তাঁর ইডি হেফাজত শেষ হবে। এদিন সকাল ৬.১০ নাগাদ আট থেকে দশ জনের ইডির আধিকারিকদের একটি দল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়িতে হানা দেন। সেই সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বাড়িতে ছিলেন না। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি আসেন। উল্লেখ্য, এর আগে রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বাকিবুর রহমানকে। আর রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর বার বার উঠে এসেছে জ্যোতিপ্রিয়র । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বাকিবুর রহমানের অন্তত ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে। নামে, বেনামে, আত্মীয়দের নামে এই বিপুল সম্পত্তি। এগুলি রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্য করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অন্তত ৬টি সংস্থায় শেয়ার রয়েছে বাকিবুরের। সেই শেয়ার মিলিয়েই বাকিবুরের সম্পত্তি প্রায় ৫০ কোটি।

Scroll to Top