রাস্তা বেহাল। সামান্য বৃষ্টিতেই খানাখন্দে জল জমে একশা অবস্থা! নিত্যদিন দুর্ঘটনা লেগেই আছে। তারই মধ্যে ছোট-ছোট পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে দিতে হয়। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল বৃহস্পতিবার। শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন ফুলবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপাইপাড়া মেইন রোড অবরোধ করলেন অভিভাবকরা।
সমস্যাটা দু-একদিনের নয়। অভিযোগ, বছরের পর বছর একইরকম বেহাল সিপাইপাড়ার প্রধান সড়কটি। অথচ ওই পথেই স্থানীয় বিদ্যালয়। কোয়েল মজুমদার নামে এক অভিভাবক জানালেন, জলমগ্ন রাস্তা পার হতে গিয়ে সম্প্রতি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাও। টোটো-দুর্ঘটনা এখানে হামেশাই ঘটছে। শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই রাস্তায় যাতায়াত কতটা বিপজ্জনক, তা অবরোধকারী অভিভাবকদের চোখেমুখে ফুটে ওঠা আতঙ্কেই পরিষ্কার।
১০ মিনিটের পথ পেরোতে সময় লাগছে ২৫ মিনিটের উপর! ১০ টাকার জায়গায় টোটো-ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৩০ টাকা! তারপরও সময় মতো পড়ুয়া-সন্তানদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জানাচ্ছেন ভুক্তভোগী বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, মাঝেসাঝে রাস্তা সারানো হলেও রাতে ভারি গাড়ি যাতায়াতের জেরে দু’দিনেই একই দুর্দশায় ফেরে সিপাইপাড়া মেইন রোড। কিছুটা দূরে রাস্তার উপর ব্যারিকেড তৈরি করলে, ভারি গাড়ির যাতায়াত ঠেকানো সম্ভব। রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি সেই দাবিও তুলেছেন অবরোধকারী অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের অবরোধের জেরে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবারই রাস্তা সারানোর উপকরণ আনা হচ্ছে। রাতে ওই রাস্তায় যাতে ভারি গাড়ি না ঢোকে, তারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পঞ্চায়েতের আশ্বাসে শেষপর্যন্ত অবরোধ তুলে নেন অভিভাবকরা। তবে অবিলম্বে রাস্তার হাল ফেরানো না হ’লে, ফের অবরোধ-বিক্ষোভ করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।









