রাজ্যের সুপার স্পেশ্যালিটি SSKM হাসপাতালে দালালচক্রের পর্দাফাঁস:
সরকারি হাসপাতালে দালালচক্রের পর্দাফাঁস। লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার জালে চার অভিযুক্ত। এবার রাজ্যের এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেও দালালচক্রের পর্দাফাঁস। পুলিশের জালে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে চারজন দালাল। ধৃত অভিষেক মল্লিক (২৩), অভয় বাল্মিকী (২০), দেব মল্লিক (১৯) এবং সুরিন্দর কুমার (৩০)। তারা চারজনই ভবানীপুরের বাসিন্দা। গত শনিবার থেকেই কলকাতার প্রথম সারির হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা অভিযান চালাচ্ছেন। এনআরএস- থেকেই দু’জন দালালকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। বেশ কয়েকদিন ধরে রোগী ভর্তির নামে দালাল চক্র চালাত। টাকার বিনিময়ে রোগীদের ভর্তির সুযোগ করে দিত। লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, এসএসকেএম থেকে ধৃত চারজন রোগীর পরিজনদের বেড পাইয়ে দেওয়ার কথা বলতেন। সেক্ষেত্রে রোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন তাঁরা। টাকা না থাকলে, কিছু জিনিস গচ্ছিত রেখে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হত। দালাল চক্রের খপ্পরে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রাণ দিতে হয়েছে রোগীকে। কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সেই ঘটনার পর থেকে সরকারি হাসপাতালে দালালচক্র রুখতে তৎপর পুলিশ। শুরু হয় গ্রেপ্তারি। হাসপাতালে দালালরাজের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও এই ধরনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এবার এই নিয়ে সরব শাসকদলেরই বিধায়ক। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। দালালদের খপ্পরে পড়ে সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধ রোগীর। ওই বৃদ্ধের ছেলে রাতেই কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। ফোন পেয়ে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছন মদন মিত্র। হাসপাতালে দাঁড়িয়েই মদন মিত্র হুঁশিয়ারি দেন, “এরকম আর কোনও দালালকে ধরা মাত্রই তাঁদের মারবেন না, ধরবেন না, পুলিশে দেওয়ার আগে একবার আমাদের হাতে তুলে দিন।” শনিবার রাতে নীলরতন সরকার হাসপাতাল চত্বর থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বর থেকে এবার পুলিশের জালে চার।