৪ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৪ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের স্বীকৃতি ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের তালিকায় এবার যুক্ত হল টালা প্রত্যয়

High News Digital Desk:

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের স্বীকৃতি ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের তালিকায় এবার যুক্ত হল টালা প্রত্যয়:

রাজ্যপালের ‘দুর্গারত্ন’ সম্মান ফেরাল কলকাতার নামী পুজো কমিটি। রাজ্যপালের ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের তালিকায় এবার যুক্ত হল টালা প্রত্যয়। কল্য়াণী লুমিনাস ক্লাবের পর এবার রাজ্য়পালের ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার প্রত্যাখান করল কলকাতার টালা প্রত্যয়-ও। দশমীতে পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর একাদশীর দিনই একের পর এক প্রত্যাখ্যান। উত্তর কলকাতার অন্যতম সেরা পুজো কমিটির মধ্যে রয়েছে টালা প্রত্যয়ের নাম। তাদের এবারের পুজোর থিম ‘কহন’ মণ্ডপ জুড়ে আলো-আঁধারির খেলা খেলেছে। এই প্য়ান্ডেল দেখে বেরোনোর পর অপূর্ব মোহের অঞ্জন লেগেছে দর্শনার্থীদের চোখে। এবার বহু পুরস্কারে ঝুলি ভরেছে এই পুজো কমিটির। রাজভবনের তরফে এবার যে চারটি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে, সেখানেও টালা প্রত্যয়ের নাম আছে। এবং একেবারে প্রথমেই নাম তাদের। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে ছিল কল্যাণীর আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাবের পুজোর নাম। তারাও ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, এ পুরস্কার তারা নিচ্ছে না।  রাজভবন থেকে এবছর শহর ও শহরতলির শ্রেষ্ঠ পুজোগুলির পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। পুরস্কারের নাম, ‘দুর্গারত্ন’। কারা পাবে এই পুরস্কার? মঙ্গলবার, বিজয়ী দশমীর দিনে শ্রেষ্ঠ পুজোর তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় ছিল কল্য়াণী লুমিনাস ক্লাব ও কলকাতার টালা প্রত্যয়। পুরস্কার বাবদ ওই পুজো কমিটিগুলিকে রাজভবনের তরফে দেওয়া হবে এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। একের পর এক চমকপ্রদ থিম করে কয়েক বছরের মধ্যে শহরের সেরা পুজোগুলির মধ্যে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে টালা প্রত্যয়। এবারের পুজোর থিম ছিল ‘কহন’। গোটা মণ্ডপ জুড়ে ছিল আলো-আঁধারির খেলা, যা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে দর্শকদের। সেই পুজোকে অন্যতম সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন রাজ্যপাল।  টালা প্রত্যয় পুজো কমিটির সম্পাদক শান্তনু ঘোষ বলেন, ‘‌কলকাতায় যারা দুর্গাপুজো করে তাদের যত প্রতিযোগিতা হয়, তাতে আবেদন পদ্ধতি থাকে। জাজেস প্যানেল এসে দেখা থেকে নানা কাজ থাকে। তারপর তো জয়–পরাজয়। তাতে একটা ভ্রাতৃত্ববোধও কাজ করে। সেখানে আমরা তো কোনও আবেদনই করিনি। তাহলে এটার বিচার কেমন করে হল?‌ কলকাতায় একমাত্র আমরাই এই পুরষ্কার পেয়েছি। তাতে কলকাতার সমস্ত দুর্গাপুজোর যে বন্ডিং সেটা ধাক্কা খাচ্ছে। কোনও বিচারক, প্রক্রিয়া ছাড়া এটা চলছে। আমরা তাই সরে দাঁড়িয়েছি। তবে আগামী বছর যদি ওনারা নিয়ম অনুযায়ী সবটা করেন, বিচারক আসেন সবটা দেখেন, তারপর দেখা যাবে।’‌ সপ্তমীর দিন কল্যাণী লুমিনাস ক্লাবের পুজো পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। সে দিন ধারে-কাছেও দেখা মেলেনি পুজো কমিটির প্রায় কারও। ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার প্রত্যাখান করেছেন এই পুজোর উদ্যোক্তারাও। রাজ্যপালকে তাঁদের পরামর্শ, ‘পুরস্কারের ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা  ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের দেওয়া হোক’।

Scroll to Top