রাজভবন অভিযানের সময় কলকাতাতেই থাকছেন না রাজ্যপাল:
মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের। মাঝরাতে দিল্লিতে দাঁড়িয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, হেনস্তার প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার এক লক্ষ মানুষ নিয়ে রাজভবন অভিযান করবে তৃণমূল। একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে বাংলার ভুক্তভোগীদের সেই চিঠিগুলি তাঁরা তুলে দেবেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধানের কাছে। বললেন, “ওই ২০ লাখ মানুষকে দিয়ে কাজ করানো হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়ার জন্য বলব।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানালেন, তিনি আশাবাদী যে কাল রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে যদি রাজ্যপাল বোসের সাক্ষাৎ অভিষেকরা না পান, সেক্ষেত্রে কী হবে তাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের অঘোষিত সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। জানিয়ে দিলেন, বোসের সাক্ষাৎ না পাওয়া গেলে, আগামিকালই রাজভবন চত্বর থেকে পরবর্তী কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হবে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এখন বাংলায় নেই। আগামিকাল রাজ্যে ফিরবেন তিনি। সোজা চলে গেলেন নিজের রাজ্য কেরলে। এভাবে বড়লাট পালালেন কেন? উঠছে প্রশ্ন। যদিও রাজভবন সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি ঘোষণার আগে থেকেই কেরল যাওয়া ঠিক ছিল রাজ্যপালের। তাই তিনি কলকাতা ছেড়েছেন। এই খবর রাজভবন দিলেও তা বাংলার মানুষ মানতে নারাজ। তাহলে কি অভিষেকদের সাক্ষাৎ এড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজভবন ছাড়লেন রাজ্যপাল? তৃণমূল প্রতিনিধিরা রাজভবনে যাবেন জেনেই কি তিনি কৌশলে সাক্ষাৎ এড়িয়ে গেলেন? তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, যদি রাজ্যপাল নাও থাকেন, তাতেও অভিযান হবেই। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারেরও সংঘাত চলছে। তার উপর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নানা ভাষায় আক্রমণ করেছেন। পাল্টা রাজ্যপালও দিয়েছেন। এই আবহে শাসকদলের ঘেরাও কর্মসূচির অর্থ বেশ চাপের। রাজ্যপাল যদি দেরি করে কেরল থেকে ফেরেন তখন আবার কোনও কর্মসূচি হতে পারে। কারণ নয়াদিল্লিতে মহিলা সাংসদদের উপর যেভাবে দিল্লি পুলিশ আছড়ে পড়েছিল এবং টানাহ্যাঁচড়া করেছিল সেটা তৃণমূল কংগ্রেস ভালভাবে নেয়নি।