৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দায় টবে গাঁজার চাষ হচ্ছে

High News Digital Desk:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দায় টবের মধ্যে লাগানো গাঁজা গাছের ছবি এখন পুলিশের হাতে পড়েছে।  গ্রেফতার হওয়া পড়ুয়া–প্রাক্তনীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলে তেমনই ছবি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।  বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর হস্টেলের আবাসিকদের মোবাইল থেকে সেই ছবি মুছে ফেলা হয়। সেই ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। এমনটাই খবর পুলিস সূত্রে। মাদক আইন অনুযায়ী, কোনও বাড়িতেও গাঁজা গাছ লাগানো নিষিদ্ধ। ফলে নেশাজাত এই দ্রব্যের গাছ কেন হস্টেলের মধ্যে লাগানো হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ বিষয়ে ধৃতদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা। মেইন হস্টেলের এ–ওয়ান এবং এ–টু ব্লকের বারান্দায় এই গাঁজার টবগুলি ছিল। ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে হস্টেলে থাকা বহু পড়ুয়ার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেইসব মোবাইল থেকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিলিট করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখেন তদন্তকারীরা। সেই ডেটা এক্সট্রাকশন করতে গিয়েই দেখা গিয়েছে হস্টেলের বারান্দার টবে গাঁজার চাষ হচ্ছে। এই ছবি হাতে পেলেও তথ্য প্রমাণ লোপাট করেন অভিযুক্তরা। তাই তদন্তের স্বার্থে পুলিশ মেইন হস্টেলে গিয়েও কোনও গাঁজা গাছের হদিশ পায়নি। কিন্তু মোবাইলের ডেটা রিকভারিতে করতেই গাঁজা চাষের হদিশ পায় পুলিশ। প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে গাঁজার ঠেক নিয়মিত বসত বলে অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তনীদের অনেকেই। তাঁদের দাবি, ‘বর্তমানে যাঁরা পড়ুয়া, তাঁরা নন, বরং বহিরাগতরাই বেশি ক্যাম্পাসে এসে গাঁজার আসর বসাতেন।’ প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মোট ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন লালবাজারের অফিসারেরা। যাঁদের মধ্যে ৭ জন মেসের কর্মী, এবং ৭ জন পড়ুয়া। এই পড়ুয়াদের মধ্যে ৪ জনের হস্টেলে থাকতেন। পড়ুয়ার মৃত্যুর বিষয়ে মেস কমিটির সদস্যরা কী জানেন, সেকথাই এদিন তাঁদের থেকে জানতে চাওয়া হয়। ৯ অগস্ট রাতে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে এখনও একাধিক পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। তদন্তকারীদের বক্তব্য, প্রত্যেকের বক্তব্যই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Scroll to Top