যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ:
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার উত্তাপের মধ্যেই নতুন উপাচার্য নিয়োগ করলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপককে দায়িত্ব দিলেন তিনি। সোমবার থেকেই দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা বুদ্ধদেব সাহুর। শনিবার রাতে রাজভবন থেকে ফোন করে গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগের কথা তাঁকে জানানো হয়। তাঁর যোগ দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ ছড়ায়। তাঁদের অভিযোগ, বুদ্ধদেব সাউ ওয়েবকুপার কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বিজেপির অধ্যাপক সংগঠনেক নেতা তিনি।বিগত কয়েক মাস ধরেই উপাচার্যহীন অবস্থায় পড়েছিল যাদবপুর। সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ শেষের কয়েকদিনের জন্য উপাচার্যের দায়িত্ব অধ্যাপক অমিতাভ দত্তের কাঁধে পড়লেও তিনিও সরে দাঁড়ান। যে সময় মেইন হস্টেলে এই ঘটনা ঘটে তখনও অভিভাবকহীনই ছিল যাদবপুর।গত ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনতল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার। সেই ঘটনার ১০ দিন পর এই নিয়োগ হল। ওই ঘটনার পর যেসব কাজ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে করার প্রয়োজন ছিলা সেগুলি হচ্ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বারবার বলছিলেন যেহেতু কোনও উপাচার্য নেই তাই ওইসব কাজ সামলানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ কেউ দিতে পারছে না। সেময় সিসিটিভি কোথায় বসবে, তার অর্থ কোথা থেকে আসবে সেরকম কিছু নির্দেশিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঢিলেমি হচ্ছিল। ফলে এবার উপাচার্য আসার ফলে সেই সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বুদ্ধদেব সাউকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে জানান, “আমার প্রায়োরিটি হচ্ছে অ্যাকাডেমিক পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখা! সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমার যতদূর মনে হয় এটা র্যাগিংয়ের ঘটনা। তাই আগে এই বিষয়ে নজর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড কতটা কাজ করছে তা দেখতে হবে! এখনই বলা যাবে না এ বিষয়ে! তবে আজ যদি এই ঘটনা না ঘটত- তাহলে আমার প্রথম কাজ হত অ্যাকাডেমিক পরিবেশকে প্রায়োরিটি দেওয়া!”