যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত পড়ুয়াকে চড় মহিলা আইনজীবীর:
যাদবপুরের ধৃত অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে কলার টেনে মারধর করলেন এক আইনজীবী। শনিবার যাদবপুরকাণ্ড অভিযুক্ত ১২ জনকে পেশ করা হয়েছিল আলিপুর আদালতে। আদালত চত্বরে ধৃতদের নিয়ে যখন পুলিশ ঢুকছিল, এক ধৃতের গেঞ্জি টেনে ধরে পিঠে সপাটে চড় কষালেন এক মহিলা আইনজীবী। আইনজীবী হয়ে এভাবে বিচারাধীন বন্দির গায়ে হাত তোলায় অন্যান্য আইনজীবীরা প্রতিবাদ করেন। যদিও তাতে দমে যাননি মহিলা আইনজীবী। তাঁর কথায়, “ঠিক হাতের সুখ করতে পারলাম না। এইসব ছেলেদের গলার নলির উপরে পা তুলে দেওয়া উচিত। আইনের কথা বলা হচ্ছে। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি থাকা সত্ত্বেও যাদবপুরে কীভাবে এই ধরণের ঘটনা ঘটল? আসলে এদের ধোলাই না দিলে র্যাগিং বন্ধ হবে না।” সোমবার যাদবপুরের ঘটনায় ধৃত মোট ১২ জনকে আলিপুরের পকসো আদালতে পেশ করা হয়। তখনই পুলিশের ভ্যান থেকে ধৃতদের নামানোর সময় এক অভিযুক্তকে কলার টেনে মারে এক আইনজীবী। অভিযুক্তদের যখন একে একে নামানো হচ্ছিল, তখনই হঠাৎ করে এক অভিযুক্তকে আটকান মহিলা। অভিযুক্ত পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই মহিলা তাঁকে পিছন থেকে গেঞ্জি টেনে ধরেন এবং পিঠে সজোরে চড় কষান। যদিও পরক্ষণেই তাঁকে থামিয়ে দেন উপস্থিত পুলিশকর্মী ও অন্যরা। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন কাণ্ড ঘটালেন ওই আইনজীবী? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে আইনজীবী মহলে। ওই মহিলা আইনজীবীর নাম নাম রমা দাস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন যখন অভিযুক্তদের নিয়ে আসা হয় তখন পকসো আদালতের সামনে দুই আইনজীবী রমা দাস ও প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রিজন ভ্যান থেকে অভিযুক্তদের দেখে তাঁরা বলেন, এঁদের অভ্যর্থনা করব? আইনজীবী রমা বলেন, “আজ ওদের মারব। ধৃতরা আদালতে ঢুকছিলেন সেই সময় রমা এক ছাত্রের পিঠে চড় মারেন। মুখের মাস্ক টেনে খুলে নেন।” জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যে ছাত্রের গায়ে আইনজীবী হাত তোলেন তাঁর নাম সত্যব্রত রায়।