অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা বিভিন্ন জেলার প্রায় কোথাওই দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। অন্তত ৮০ শতাংশ বাহিনী বুথে বুথে মোতায়েন করা হবে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠছে, লে বা অরুণাচল থেকে যে জওয়ানদের আনা হল, তাঁরা রাতারাতি কীভাবে পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন? পশ্চিমবঙ্গ। গোটা রাজ্যজুড়ে প্রত্যেক জেলায় কমবেশি রিগিং, প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধর, ছাপ্পা, ব্যালট লুঠ ও সংঘর্ষের পাশাপাশি খুনের অভিযোগ উঠে এসেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে কোথায় পুলিস! কোথায় বা কেন্দ্রীয় বাহিনী? রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভোটে স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোতেও কোনোভাবেই সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা নেই। এ বিষয়ে বিভিন্ন জেলা পুলিস আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। একাধিক সরকারি দফতর, অফিসগুলিতে আজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অধিকাংশ সরকারি কর্মী পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ভোটের ডিউটিতে রয়েছেন। সে কারণে শহরে সকালের শুরুতেই সরকারি অফিস কর্মীদের যাতায়াতের সংখ্যা নেই বললেই চলে। গোটা রাজ্যে ভোটে নিরাপত্তার জন্য আদালতের নির্দেশে চাপে পড়ে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন৷ যদিও শেষ পর্যন্ত সেই সংখ্যক বাহিনী এসে পৌঁছেছে কি না, তার হিসেব ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি৷ সব বুথে কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যায়, তার ফর্মুলাও তৈরি করে দিয়েছিল আদালত৷
