কলকাতা : ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি, বিপদের মুখে বাংলা। নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি চলছে ঝাড়খন্ডে। জল ছেড়েছে ডিভিসি। ফলে প্লাবিত হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলা। তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ভাসছে হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, পুরশুড়া। শুধু হুগলি নয় জলের তলায় হাওড়া, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া ও ২ মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্লাবিত জেলাগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখমন্ত্রী। বুধবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একাধিক জেলায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির পুরশুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সহ একধিক এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। কথা বলেন এলাকাবাসীর সঙ্গে।
পুরশুড়ায় দ্বারকেশ্বর নদীর ওপর ব্রিজের অবস্থা খারাপ। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে জল। এলাকা পরিদর্শন করেই ডিভিসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মুখমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি। প্ল্যান করে বাংলাকে এরা ডোবাচ্ছে। আমি নিজে কথা বলেছি ডিভিসির সঙ্গে। কথা বলেছি ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এত জল এর আগে কখনও ছাড়েনি। ম্যান মেড বন্যা। বাংলা আর কত বঞ্চনা সহ্য করবে!’
ইতিমধ্যে হুগলির খানাকুলে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে এনডিআরএফ। জলমগ্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরানোর কাজ শুরু করেছে নবান্ন। সূত্রের খবর, বাঁকুড়া থেকেই অন্তত ১২ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া থেকেও সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। হাওড়ার নিম্ন দামোদর এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদয়নারায়ণপুর এবং আমতায় দামোদর এবং মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বুধবার রাতে আরও জল ছাড়তে পারে ডিভিসি। চিন্তায় রাজ্য।