৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি কেন্দ্রের, অপরাধ রোখার সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন

কলকাতা : ধর্ষণ রুখতে কড়া আইন ও ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই চিঠির উত্তর দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী পাল্টা চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই চিঠিতে ধর্ষকদের শাস্তির ক্ষেত্রে রাজ্যের সদিচ্ছাকে দায়ী করেছেন তিনি। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গে ৪৮ হাজারেরও বেশি ধর্ষণ ও পকসো মামলা ঝুলে আছে। কেন্দ্র-অনুমোদিত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে সেই ধর্ষণ এবং পকসো মামলার শুনানি চালু করার জন্য রাজ্যের পদক্ষেপ দেখা যায়নি। মহিলাদের জন্য (১৮১) ও শিশুদের জন্য (১০৯৮) বিশেষ হেল্পলাইন এখনও চালু করেনি রাজ্য সরকার। নারী নির্যাতন রুখতে দেশে কড়া আইন রয়েছে। তবে তা কীভাবে প্রয়োগ হবে, সেটি রয়েছে রাজ্যের হাতে।’

আরজি করের ঘটনার পর ২২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা। চিঠিতে ধর্ষণ রুখতে কড়া আইন আনা ও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে শুনানির আবেদন করেছিলেন মুখমন্ত্রী। চিঠিতে কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী দাবি করেছেন , ‘পশ্চিমবঙ্গের জন্য ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট অনুমোদন করেছিল কেন্দ্র, যার মধ্যে আবার ২০টি কোর্ট শুধুমাত্র পকসো মামলার দ্রুত বিচারের জন্য রাখা হয়েছিল। বাকি কোর্টগুলিতেও ধর্ষণের পাশাপাশি পকসো মামলার বিচার হওয়ার কথা। কিন্তু ২০২৩ সালের জুনের আগে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে একটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টও চালু করা হয়নি। গতবছর ৮ জুন কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে রাজ্য জানায়, তারা কেন্দ্রের প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে চায়। সেই সময় ৭টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল রাজ্য। রাজ্যের জন্য ১৭টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট অনুমোদিত হয়। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৬টি পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট কার্যকর করা হয়েছে এ রাজ্যে। অনুমোদন দেওয়া বাকি ১১টি কোর্ট এখনও চালুই করতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ।’

আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত পুলিশের হাত থেকে যায় সিবিআইয়ের হাতে। সুবিচার চেয়ে পথে নামেন মমতাও। আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই আবহে দেশে ধর্ষণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মমতা। রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে পাল্টা চিঠি এলো কেন্দ্রের তরফ থেকে।

Scroll to Top