কলকাতা : আরজি কর কাণ্ডের জেরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে চলা সমালোচনার প্রেক্ষাপটে মহারাষ্ট্রে নাবালিকা দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি প্রসঙ্গে সোচ্চার হলেন মহুয়া মৈত্র। নিজের এক্স (X) হ্যান্ডলে তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, ‘আরজি করের ঘটনায় দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে এবং তার ভিডিওগ্রাফি আছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু দিনের পর দিন চলে গেলেও নাবালিকাদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় এফআইআর নিতে রাজি ছিল না মহারাষ্ট্র পুলিশ। এটাই হল প্রকৃত অগণতান্ত্রিক জোট সরকার।’
গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার বদলাপুরের কিন্ডারগার্টেনে দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওই স্কুলেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। তাকে পরে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন এফআইআর গ্রহণ করেনি পুলিশ। সামাজিক মাধ্যমে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পোস্টে সেই প্রসঙ্গই উঠে এসেছে।
বদলাপুরের ঘটনায় প্রতিবাদী অভিভাবকদের উপর লাঠিচার্জ করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে মহুয়া মৈত্র তাঁর এক্স (X) হ্যান্ডলে আরও একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তাঁর প্রশ্ন, ‘সংবাদমাধ্যমে কলকাতা পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে সোচ্চার সমালোচকরা মহারাষ্ট্রের লাঠিচার্জ নিয়ে প্রশ্ন করছেন না কেন? সেখানে বিজেপির জোট সরকার রয়েছে বলে?’
এক্স (X) হ্যান্ডলে রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর অর্থপূর্ণ জিজ্ঞাসা, ‘মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন না কেন? কেন সেখানকার ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরিত করা হচ্ছে না? ইডি-সিবিআই কি শুধু বিরোধী আর বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলির জন্য?’
এক্সে (X) অপর একটি পোস্টে নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উদ্দেশে বিদ্রুপ ছুড়ে দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের আগের রাজ্যপাল তাঁর প্রভুর আদেশ পালন করে পুরস্কৃত হয়েছেন। কিন্তু ভারতে উপরাষ্ট্রপতির পদ একটাই। আশা করি বর্তমান রাজ্যপাল এটা বুঝতে পারবেন এবং মমতা সরকারের বিরুদ্ধে নাটকীয় ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত হয়ে রাজভবনকে মহিলা কর্মীদের পক্ষে নিরাপদ করে তোলায় মন দেবেন।’