নিজস্ব সংবাদদাতা : ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিলেই কি ওজন কমবে? খাদ্যতালিকায় ভাত থাকলে কি ওজন কমানো যায় না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের ডায়েটে চার বেলা ভাত থাকে| আবার অনেকেই স্লিম হওয়ার জন্য ভাত বাদ দিয়েছেন জীবন থেকে| ইদানিং সচেতনতার জন্য অনেকেই ভাত খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন| কারওর আবার ডাক্তারের পরামর্শেই খাদ্যতালিকা থেকে সরাতে হয়েছে ভাত| পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত শরীরে প্রচর কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে| ভাতে স্টার্চের মাত্রা বেশি, কিন্তু পুষ্টিগুণ প্রায় নেই বললেই চলে| খুব বেশি পরিমাণে সাদা ভাত খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, ওজনও বাড়ে| তাই বলে কি খাবারের থালা থেকে একেবারেই ভাত বাদ দিয়ে দেওয়া ভাল? এক মাস টানা ভাত না খেলে শরীরের ক্ষতি হয় না কি লাভ?
পুষ্টিবিদদের মতে, এক মাসের জন্য ভাত ছেড়ে দিলে শরীরে ক্যালোরির মাত্রা কমতে শুরু করে, এই কারণে ভাত খাওয়া ছাড়লে ওজন কমে যায়| কিন্তু ভাত ছেড়ে দিয়ে আপনি অন্য কোনও কার্বহাইড্রেট নিলে সেই প্রভাবটা বোঝা যাবে না| যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি তাঁরাও মাসখানেক ভাত খাওয়া ছেড়ে থাকলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে| তবে আবার যখন আপনি ভাত খাওয়া শুরু করবেন, তখন কিন্তু শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে| তাই এক মাসের জন্য ভাত ছেড়ে দেওয়াকে খুব বেশি সমর্থন করছেন না পুষ্টিবিদরা| তাঁদের মতে, শরীরের অবস্থা ৱুঝে কখনও কখনও রোগীকে এক মাস ভাত খেতে বারণ করা হয় বটে, তবে সেটা সবার ক্ষেত্রে করলে খুব বেশি লাভ হয় না| কিন্তু ভাত খাচ্ছেন বলেই যে স্লিম হওয়া যাবে না, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বলছেন ডাক্তাররা| রোগা হতে চাইলে সারা দিনে আমাদের শরীর যতটা ক্যালোরি ঝরাচ্ছে, তার চেয়ে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হয়| যাঁরা লো কার্ব ডায়েট করেন, তাঁদেরও ভাত বেশ অপছন্দের| তবে ওজন কমাতে চাইলে যে প্রতিদিনের ডায়েট থেকে ভাত একদম বাদ দিতে হবে, এমন ধারণা মন থেকে সরিয়ে ফেলুন| বরং একটা সহজ নিয়ম মানলেই চলবে| ধরুন, আপনি রোজ দুবাটি ভাত খেতেন| তার বদলে এখন থেকে রোজ এক মুঠো ভাত খান| তার সঙ্গে বাকি ডাল-তরকারির পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিন| তা হলেই অনেক উপকার পাবেন|









