৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাস-দুর্ঘটনায় মৃত্যু-মিছিল, নেপালে ভারতের ২৭ নাগরিকের প্রাণহানি

High News Digital Desk:

নয়াদিল্লি : নেপালে বাস দুর্ঘটনায় ২৭ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স (X) হ্যান্ডলে নরেন্দ্র মোদি (Naendra Modi) লিখেছেন, ‘নেপালের তনহুঁ জেলায় পথ-দুর্ঘটনার জেরে প্রাণহানিতে বেদনা অনুভব করছি। শোকগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’ প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘নেপালের ভারতীয় দূতাবাস থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সকল প্রকার সাহায্য করা হচ্ছে।’

তৎপর হয়েছে ভারতের বিভিন্ন মন্ত্রকও। দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ নিয়ে নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছেন ভারতের যুব-প্রতিমন্ত্রী রক্ষা খাড়সে (Raksha Khadse)। এরই মধ্যে নেপালের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। আহতদের দেখতে টিইউ টিচিং হাসপাতালে (TU Teaching Hospital) পৌঁছেছেন যুব-প্রতিমন্ত্রী রক্ষা খাড়সে। চিকিৎসাধীন জখম যাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। আহতরা ভারতের যুব-প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আতঙ্কের স্মৃতির মধ্যেই কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছেন।

গতকাল নেপালের গণ্ডকি প্রদেশের তনহুঁ (Tanahun) জেলায় খরস্রোতা মারশিয়াংড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা নদীবক্ষে চলে যায় উত্তরপ্রদেশের বাস। দুর্ঘটনায় বাসের মধ্যে থাকা ৪৩ ভারতীয় যাত্রীর মধ্যে ২৭ জন মারা যান। জখম হন অনেকে। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শুশ্রূষার জন্য। ঘটনায় নেপালের তনহুঁ জেলার প্রশাসন প্রশংসনীয় তৎপরতা দেখিয়েছে। উদ্ধার থেকে শুশ্রূষা – কোথাও তেমন কোনও ঘাটতি রাখেনি তারা। তবে তাতেও ২৭ ভারতীয় বাসযাত্রীর প্রাণহানি ঠেকানো যায়নি। নিহতদের নামের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছে নেপাল সরকার। সে-দেশের চিতওয়ানে (Chitwan) মৃতদের দেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহতদের আকাশপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কাঠমান্ডুতে। উদ্ধার প্রক্রিয়ায় গতি আনতে ও ওই বাসযাত্রীদের আত্মীয়দের কথা ভেবে জরুরি ভিত্তিতে একাধিক ফোন নাম্বার খুলে রাখা হয়েছে। তাতে খোঁজখবর নিতে অনেকটা সুবিধা হয়েছে, নিঃসন্দেহে। তবে এরই মধ্যে একের পর এক মৃত্যুসংবাদে মূহ্যমান দেশবাসী। বেড়াতে গিয়ে এমন দুর্ঘটনায় এত সংখ্যক মৃত্যুর অভিঘাত কাটিয়ে ওঠা দীর্ঘ-সময়সাপেক্ষ।

Scroll to Top