২৩ কার্তিক ১৪৩২ রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২৩ কার্তিক ১৪৩২ রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫

‘বনধ সর্বাত্মক,’ রাজ্যবাসীকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন সুকান্তর; পুলিশকে ‘দলদাস’ আখ্যা

High News Digital Desk:

কলকাতা : বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। বুধবার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বিজেপি নেতাকে পুলিশ হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ। টেনেহিঁচড়ে রাহুল সিনহা, শমীক ভট্টাচার্য ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ, অভিযোগ বিজেপির। দীর্ঘক্ষণ বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাড়ি ঘিরে রেখে, পরে তাঁকেও পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তোপ দাগেন, ‘পুলিশ গুন্ডামি করছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই পুলিশকে নামিয়েছে তাদের ছাত্র সমাবেশের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করতে।’

বনধের দিন পুলিশের ‘অতি সক্রিয়তা’য় রীতিমতো ক্ষুব্ধ সুকান্ত মজুমদার। তিনি পুলিশের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘আপনারা বাংলার জনতার চাকর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির চাকার নন। এখনো সময় আছে, নিজেদের সামলে নিন। এরপর জনতা কিন্তু পুলিশকে তাড়া করে মারবে। আপনারা দলদাসের মতো কাজ করছেন।’ সুকান্তর প্রশ্ন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কি বাংলাকে পুলিশ স্টেট বানাতে চাইছেন?’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঁধে নিয়ে পুলিশ ঘুরছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মানুষ নেই। শাসকদল হয়েও ১০-১৫ জন লোক নিয়ে বনধকে বন্ধ করার জন্য আজ চেষ্টা করে গেল সমানে!’

বিজেপি ডাকা বনধকে ‘সর্বাত্মক’ বলে দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার। বনধ সফল করার জন্য রাজ্যবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন তিনি।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের সাংবাদিক বৈঠকে এ’দিন উঠে এসেছে মানকুণ্ডু স্টেশনের ঘটনা। সেখানে জাতীয় পতাকা হাতে ট্রেন থেকে নেমে ‘নিত্যযাত্রীরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন,’ দাবি তাঁর। সুকান্তর অভিযোগ, ‘পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও তৃণমূল বোম ফাটিয়ে একত্রে রেললাইন পরিষ্কার করেছে।’ ‘আরপিএফ এর জুরিসডিকশনের মধ্যে পুলিশ ঢুকতে পারে কিনা,’ সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

Scroll to Top