৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বংশীবদন বর্মন রাজবংশী মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে রাজনীতি করছেন! বিস্ফোরক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

High News Digital Desk:

বংশীবদন বর্মন রাজবংশী মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে রাজনীতি করছেন! বিস্ফোরক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ :-

বংশী বদন বর্মন সহজ সরল রাজবংশী মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে রাজনীতি করছেন। বৃহস্পতিবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ-সভাপতি তথা কোচবিহার পৌরসভার পৌরপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অঙ্গের সাথে তুলনা করতে গিয়ে মতুয়া ও রাজবংশী সমাজকে তার শরীরের দুই পা হিসেবে বর্ণনা করেন। তারই প্রতিবাদে রাজবংশী ভাষা একাডেমির চেয়ারম্যান বংশীবদন বর্মন হুঙ্কার দিয়ে বলেন মুখ্যমন্ত্রীকে তার এই কটু বক্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রয়োজনে তিনি রাজবংশী ভাষা একাডেমির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।

বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গ টেনেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান যে বংশীবদন বর্মন নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য রাজবংশী সমাজের সহজ সরল মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে রাজনীতি করছেন। তিনি আরো বলেন যে বংশীবদন রাজবংশী সমাজের মানুষকে মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছেন। মানুষের শরীরের হাত পা কান ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থাকে। তার মধ্যে পা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারন মানুষ পা ছাড়া চলতে পারেন না। এপ্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পুরানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন ভগবান বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ খন্ড বিখন্ড করেন। যার ফলে সতীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ টুকরো টুকরো হয়ে যেখানে যেখানে পড়েছে সেখানে সেখানে সতীপীঠ গড়ে উঠেছে। আর যেখানে যেখানে মায়ের পা পড়েছে সে সকল স্থানে সবচাইতে বেশি ভক্তের সমাগম হয়। বংশীবদন বর্মন শরীরে পায়ের গুরুত্ব বুঝেছেন কিনা আমার জানা নেই। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমন করার নিন্দা জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী একজন সম্মানীয় ব্যক্তি । বর্তমানে গোটা দেশের মধ্যে সব চাইতে বেশি জনপ্রিয় মানুষ। কোচবিহারের মানুষ তাকে অত্যন্ত ভালোবাসে। রাজবংশী সমাজকে মুখ্যমন্ত্রী ভালোবাসেন । তাই তিনি রাজবংশী ভাষা একাডেমি তৈরি করে সেই সংস্থার চেয়ারম্যান পদে বংশীবদন বর্মনকে বসিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ রাজবংশী বোর্ড গঠন করেছেন তিনি। রাজবংশী সমাজের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যা যা কাজ করেছেন তা ভারবর্ষের অন্যান্য রাজ্যে হয়নি। পাশাপাশি আসাম রাজ্যে নব্বই লক্ষ রাজবংশী মানুষ রয়েছে। সেখানে বিজেপি সরকার রাজবংশী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া তো দূর তাদের ট্রাইবাল স্বীকৃতি পর্য্যন্ত আজ অবধি দেয়নি। সেখানে তারা জেনারেল কাস্ট হিসেবে বিবেচিত। সেখানে আলাদা করে কোনো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি। আমি বংশীবদন কে বলতে চাই কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ তাকে তাদের ঠেকা দেয় নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাদের আস্থা রয়েছে বিশ্বাস রয়েছে ভরসা রয়েছে। কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সমাজের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই আছে।

Scroll to Top