কলকাতা : পথ চলা শুরু করল ফিলানথ্রোপিক টেকনিকাল অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার এক বেসরকারি হোটেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগঠনটি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেন এ কে চৌধুরী স্কুল অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির ডিরেক্টর অধ্যাপক অম্লান চক্রবর্তী, ফিলানথ্রোপিক টেকনিকাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৌরভ দাস, ফিলানথ্রোপিক টেকনিকাল অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান মানিক পাল, আইইই কমিউনিকেশন সোসাইটির কলকাতার ইন্ডাস্ট্রি চেয়ারম্যান ড. পল্লব গাঙ্গুলি সহ বিশিষ্টরা। আলোচনা হয় মানবসম্পদে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ভূমিকা নিয়ে। সেক্ষেত্রে ফিলানথ্রোপিক টেকনিকাল অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম কী হবে, তা-ই ছিল প্রধান আলোচ্য।
অনুষ্ঠানে এসে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানান, ‘আমাদের একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, রাজ্যে আইটি নিয়ে পলিসি আছে কিনা। আমরা জানাতে চাই, রাজ্যে আইটি পলিসি আছে, যেটা শুরু হয়েছিল ১৩ আগস্ট, ২০১৮ থেকে। বর্তমান চাহিদাকে মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত সেই পলিসি আপগ্রেড করা হচ্ছে।’
শুক্রবারের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই জানেন না কোম্পানিগুলিতে কীভাবে কাজ হয় বা কোম্পানির চাহিদা কী থাকে। ফলে দক্ষ-প্রশিক্ষিত কর্মী পেতে সমস্যায় পড়ছে সংস্থাগুলি। শুধু তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা সংস্থাই নয়, সব কোম্পানিতেই আইটির গুরুত্ব রয়েছে। বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি ও ইনস্টিটিউটে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে-কলমে তালিম দিতেই তৈরি হয়েছে ফিলানথ্রোপিক টেকনিকাল অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের চেয়ারম্যান সৌরভ দাস জানান, ‘ছাত্রদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি করে দেব আমরা। ছাত্রদের মেন্টরশিপ দিয়ে তাঁদের চাকরির উপযোগী করে তোলাই মূল লক্ষ্য।’
জানা যাচ্ছে, এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির সিআইও-সিটিও। তাঁরাই তথ্যপ্রযুক্তির পড়ুয়াদের বিভিন্ন সংস্থার কর্মপ্রণালী বিষয়ে সম্যক ধারণা দেবেন। তথ্যপ্রযুক্তি পাঠ-শেষে ছাত্রছাত্রীদের ইন্টার্নশিপের সুযোগও করে দেবে ফিলানথ্রোপিক টেকনিকাল অ্যাসোসিয়েশন। ফলে তৈরি হবে চাকরির সুযোগ। কোম্পানিগুলিতেও দক্ষ কর্মীর ঘাটতি মিটবে। এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল বিভিন্ন কোম্পানির এইচআরদেরও। আগামী দিনে পড়ুয়াদের ক্রাস কোর্স করানোর ভাবনা রয়েছে সংগঠনটির। ভারতবর্ষে এমন উদ্যোগ এই প্রথম বলে দাবি।