নিজস্ব সংবাদদাতা : দেশ গঠনে রাজনীতিকদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলোচনা বাহুল্য| আর সেই ভিত তৈরি হয় ছাত্রাবস্থা থেকেই, একথা কে না জানে? তাই ছাত্র-রাজনীতি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ| ছাত্র-রাজনীতির হাত ধরে সংসদীয় রাজনীতিতে পা রেখেছেন অনেকেই| এবারের পঞ্চায়েত ভোটে নতুন প্রজন্মের প্রার্থীর সংখ্যা নেহাত কম নয়| পঞ্চায়়েত নির্বাচনে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ দাগ কেটেছে শিশুমনেও| প্রার্থীর ছবি এঁকে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করল জলপাইগুড়ির এক খুদে শিল্পী| এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই তুলে ধরা হয়েছে তরুণ প্রজন্মের নতুন মুখদের| যার মধ্যে অন্যতম জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারো-পেটিয়া| এই এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক নিয়ে প্রথমবার জেলা পরিষদের ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হচ্ছেন প্রনয়ীতা দাস| তৃণমূল কংগ্রেসের এহেন দৃষ্টিভঙ্গি একদিকে যেমন এলাকার নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে, পাশাপাশি দাগ কেটেছে শিশুমনেও|
জলপাইগুড়ি শহরের মাসকলাইবাড়ির রাজু দের কন্যা তৃষা দে| নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি প্রনয়ীতার রাজনীতির ময়দানে যোগদান তাঁকেও যে কতটা প্রভাবিত করেছে, সেই কথাই রং-তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে খুদে শিল্পী তৃষা| তৃষা জানিয়েছে, আজ সে যাঁর ছবি এঁকেছে, সেও একসময় তাঁর সঙ্গেই আঁকা শিখতো| এই ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে তৃষা একদিকে যেমন জেলা পরিষদের প্রার্থী প্রনয়ীতা দাসের প্রতি নিজের অনুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছে, সেইসঙ্গে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রার্থনাও জানিয়েছে সে| অপরদিকে খুদে শিল্পীর হাতে আঁকা বাবা এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের ছবি দেখে বেজায় খুশি তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী প্রনয়ীতা দাস| শিল্পীর প্রতি নিজের ভালোবাসা জ্ঞাপন করে প্রনয়ীতা বলেন, আর্টের মাধ্যমে আমরা আমাদের অনুভূতি প্রকাশ করি| আমার এবং আমার বাবার পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তৃষার যে ভালোবাসা রয়েছে, তা এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার জন্য ওঁকে আমার তরফ থেকে অভিনন্দন জানাই| প্রনয়ীতার বাবা কৃষ্ণ দাস, যিনি নিজেও একজন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কমীর্| দীর্ঘ কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে জেলা তৃণমূলে সম্মানীয় জায়গা অর্জন করতে পারা কৃষ্ণবাৱুও খুদে শিল্পীর এই প্রচেষ্টায় খুশি হয়ে মন থেকে আশীর্বাদ করেন শিল্পী তৃষা দে কে|
