শেষ দিনে কিছু একটা ঘটতে চলেছে, খবরটা পেয়ে সতর্ক হয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ বা গিল্ডকর্তারা। সেই মতো রবিবার দুপুর থেকেই বইমেলার গেটে কড়াকড়ি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু যাঁদের নিয়ে এত সতর্কতা, তাঁরাও কম যান না। তাই বিকেলে লিটল ম্যাগাজ়িন প্যাভিলিয়ন তল্লাটে ব্যাগে খাবারের বাক্স বা ভারী জলের বোতলের নীচ থেকে বেরোল প্রতিবাদের পোস্টার। প্রতিবাদের সেই বার্তাই শেষ দিনে বাঙালির বই উৎসবের একটি চিরকালীন চরিত্র মেলে ধরেছে।
আর জি কর-কাণ্ডে নিহত চিকিৎসক-ছাত্রীর জন্মদিন এবং বইমেলার শেষ দিন, দুটো মিলে গিয়েছে কাকতালীয় ভাবেই। যাঁরা মিছিলে হাঁটলেন, তাঁরা অনেকেই শ্যামবাজার থেকে সল্টলেকমুখো হয়েছেন। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের দুই কর্তা ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং সুধাংশুশেখর দে ধারাবাহিক ভাবে বলে আসছিলেন, বইমেলা প্রতিবাদের জায়গা নয়। বইয়ে যা খুশি লেখা গেলেও মিছিল, সভা করে প্রতিবাদ তাঁরা মানবেন না। কিন্তু প্রতিবাদীরা অন্য ধাঁচের বিশ্বাস মেলে ধরেছেন। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রতিবাদও যে বইমেলার ঐতিহ্য, তা মনে করিয়েই সরব হন তাঁরা।










