২ কার্তিক ১৪৩২ সোমবার ১৯ অক্টোবর ২০২৫
২ কার্তিক ১৪৩২ সোমবার ১৯ অক্টোবর ২০২৫

পুলিশের মতলব নিয়ে বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা

High News Digital Desk:

কলকাতা : আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবি ও নারীর নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদে আজ রাতে বাংলা জুড়ে মহিলাদের ‘রাস্তা দখল’ কর্মসূচি। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘মহিলারা এই কর্মসূচির আহ্বান করেছেন। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ছবি তোলার জন্য না গেলেও জেগে থাকতে হবে।’

শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল এই কর্মসূচির আয়োজন করেনি। আয়োজন করেছেন সাধারণ মানুষ। আবার তৃণমূল বাদে অন্য রাজনৈতিক দলও এই আয়োজন করেছে পতাকা ছাড়াই। মূল সুরটা বেঁধে দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। অতএব এটা মা-বোন-দিদিরাই করবেন। আমরা যারা চিহ্নিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ক্যামেরার সামনে না থেকে আমাদের আড়ালে কোথাও জেগে থাকতে হবে, যাতে কোথাও তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী হামলা করতে না পারে, পুলিশ কোথাও টেনেহিঁচড়ে তুলে দিতে না পারে।’

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন যে, ‘পুলিশ একটা পরিকল্পনা করেছে – রেড রোড ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যদি কোথাও রাত্রিবেলা এ ধরনের কর্মসূচি হয়, তাদের মেরেধরে বলপ্রয়োগ করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’ শুভেন্দুর সংযোজন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছেন যে, বৃহস্পতিবার রেড রোডে প্রোগ্রাম আছে। তাই তার ধারেপাশে যাতে কেউ বসতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ ভৃত্য বিনীত গোয়েলকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে যোধপুর পার্কের অবস্থান-বিক্ষোভে যোগ দিতে চলেছেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর জবাব, ‘আমি তাঁর সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানাব। বিষয়টা সম্পূর্ণ সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারি ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে।’ শুভেন্দুর যুক্তি, ‘ কেউ একবারও বলেনি যে, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও পদাধিকারী রেপ করেছে, খুন করেছে। বারে বারে বলা হয়েছে, সরকার করেছে আর পুলিশ আড়াল করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের চেয়ারপারসন পদ থেকে সরানোর দাবি আমরা করিনি, করবও না। আমরা রাজ্যের পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতরের মন্ত্রীত্ব থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছি।’

শুভেন্দু অধিকারী বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘লড়াইটা একটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। এ লড়াই একদিনের নয়। এ লড়াই অনেকদিন চলবে, যতদিন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন হচ্ছেন।’

Scroll to Top