৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুলিশের বাধায় বিঘ্নিত বিজেপির ধরনা, গ্রেফতার বহু

কলকাতা :  বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি শ্যামবাজারে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ধরনায় বসার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের। আরজি করের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ধরনা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের ধরনা নিয়ে প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ধরনা কর্মসূচিতে যোগ দিতে রওনাও হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সুকান্ত মজুমদারের সেই ধরনামঞ্চ শুক্রবার সকালেই ভেঙে দেয় পুলিশ।

খবর পেয়ে সেখানে জড়ো হন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপির নেতানেত্রীরা। মঞ্চ ছাড়াই ধরনার প্রস্তুতি শুরু করে দেন তাঁরা। তবে তাতেও বাধা। ওই এলাকায় পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। গ্রেফতার করা হয় বিজেপি কর্মীদের।

বিজেপির ২০-২৫ জন কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়। এই নিয়ে কার্যত বিজেপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধুন্ধুমার বেধে যায় পুলিশের। পরিস্থিতি রীতিমতো সংঘাতময় হয়ে ওঠে। কিন্তু এতেও দমে যাননি বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পরে তাঁরা ফের একবার মঞ্চ বাঁধার প্রস্তুতি শুরু করে দেন। ফের তাঁদের সেখান থেকে হঠিয়ে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝাকে। গ্রেফতার হন রুদ্রনীল ঘোষ।

তবে ধরনাস্থল ছাড়তে রাজি হননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের বিরুদ্ধে দমননীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। পূর্বনির্দিষ্ট ধরনাস্থলেই সুকান্ত মজুমদারের বসে থাকাকে ঘিরে ছড়ায় উত্তেজনা। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘিরে ফেলে এলাকা। সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। বিজেপির ধরনাকে ঘিরে পুলিশের অতিসক্রিয়তার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন অনেকে।

Scroll to Top