পুজোর ঢাকে কাঠি| সময়ের আগেই খুঁটিপুজোর হাত ধরে বাঙালীর উত্সবের কাউন্টডাউন শুরু :-
উত্সব ছাড়া বাঙালীর জীবন কেমন জানি অসম্পূর্ণ| তাই তো বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ| তবো বাঙালীর সবচেয়ে বড়ো উত্সব দুর্গোপুজো| প্রথা মেনে রথের দিনে খুঁটি পুজো করে থাকেন অনেক পুজোর উদ্যোগক্তারা| প্রতিবছর রথযাত্রার দিন বেশীরভাগ পুজো প্যান্ডেলের খুঁটি পুজো হয়| এদিন পুজো করতে না পারলে পরের অন্যান্য শুভদিনগুলি বেছে নেওয়া হয় খুঁটি পুজোর জন্য| খুঁটিপুজোর মাধ্যমেই ঢাকে কাঠি পড়ে যায়| তাই বলাই যায়, শুরু হলো এবছরের দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি| আর ঠিক ৪০ দিন পরেই বাঙালীর শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গোত্সব| গত কয়েক বছর ধরে খুঁটি পুজো জাঁকজমক করে পালন করা একটা ট্রেন্ড| তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা ঐতিহ্য- কাহিনী| দুর্গোপুজোর জন্য প্রায় সারাটা বছর ধরে দিন গুনতে থাকেন প্রায় প্রত্যেক বাঙালী| জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছোটো কিংবা বড়ো বিভিন্ন পুজোর প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে| জন্মাষ্টমীর পুণ্য তিথি লগ্নে বেলেঘাটা সরকার বাজার বিবেকানন্দ সংঘের খুঁটি পুজো অনুষ্ঠিত হলো| পুজোর ঢাকে পড়ে গেলো কাঠি| বেজে গেলো পুজোর বাদ্যি| বেলেঘাটা সরকার বাজার সংঘের খুঁটি পুজো ৭৫ তম বর্ষে পদার্পণ করলো| খুঁটি পুজোয় উপস্থিত ছিলেন ৩৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশুতোষ দাস| এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ক্লাবের মেম্বার পার্থ সরকার সহ আরো অনেকে| বেলেঘাটা সরকার বাজার সংঘ এবারের পুজোয় তাঁরা বেছে নিয়েছেন সাবেকিয়ানাকে| তাই এবারে তাদের থিমআবেগ নিয়ে সাবেগ | এছাড়াও থাকছে নানান আলোকসজ্জা| সাবেকিয়ানার চমক নিয়ে এবারে হাজির হচ্ছে বেলেঘাটা সরকার বাজার সংঘ| ক্লাবের মেম্বার পার্থ সরকার বলেন, জনসংযোগের মাধ্যমে মেলবন্ধন সম্ভব| থিম পুজোর যুগে দিকে দিকে যখন প্রতিযোগীতা টক্কর, সেই সময় সাবেকিয়ানাকে পুজোর ভাবনায় জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ক্লাবের কর্মকর্তারা | কারও সঙ্গে টক্করে না গিয়ে নিজেদের ভাবনায় ভর করেই তাক লাগাতে চাইছেন পুজোর আয়োজকরা|