৩ কার্তিক ১৪৩২ মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর ২০২৫
৩ কার্তিক ১৪৩২ মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পয়লা বৈশাখের পক্ষেই মত বেশি

High News Digital Desk:

পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পয়লা বৈশাখের পক্ষেই মত বেশি:

মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে সর্বদলীয় সভায়  ২০ জুন  দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালনের ভাবনা কার্যত খারিজ হয়ে গেল। কারণ, ওই দিনটির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে দেশ তথা বাংলা ভাগের রক্তাক্ত অধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সর্বদলীয় সভা ডেকেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে পালন করা যায়, তা ঠিক করার জন্য। সেখানে বিরোধী কোনও দলই আসেনি। আসলে বিজেপি রাজ্যপালের করা পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যেতে চায়নি। কিন্তু বাকি বিশিষ্টজনেরা নানা মত তুলে ধরেছেন। তাতে পয়লা বৈশাখের পক্ষেই মত বেশি। আলোচনায় উঠে আসে ২৩ জানুয়ারি(নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন), ১৫ আগষ্ট (স্বাধীনতা দিবস), ১২ ডিসেম্বরও (বঙ্গভঙ্গ রদের দিন)। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করব’। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘সকলেই বলেছেন বাংলার জন্য একটা গান যদি আমরা বেছে নিই, তাহলে খুব ভালো হয়। অধিকাংশই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সংগীত হিসাবে বেছে নেওয়ার কথা বলেছেন’।  মুখ্যমন্ত্রী চান, বাংলার মাটি গানটির কয়েকটি শব্দ বদলাতে। ‘বাঙালি’ শব্দটির বদলে ‘বাংলা’ শব্দের প্রয়োগ করতে। কিন্তু সেই প্রস্তাব নিয়ে শেষ পর্যন্ত সহমত হতে পারেননি সকলে। তাই এই সিদ্ধান্ত পিছিয়ে যায়।  বাংলার মাটি, বাংলার জল’ বা ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা’ এই দুই গানের মধ্যে যে কোনও একটার পক্ষে মতামত জানাতে হবে বলেই সূত্রের খবর। রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সঙ্গে এদিনের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলার বিদ্বজ্জন, সর্বধর্মের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ব্যক্তিত্বকেও। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই এদিনের বৈঠকে আসেনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানান, যেহেতু আগেভাগেই তৃণমূল নেত্রী ২০ জুনের বিরোধিতা করেছেন, তাই তাঁরা বৈঠকে যাচ্ছেন না।  মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবার মতামত শুনলাম। এর পরেও যদি কারও কোনও প্রস্তাব থাকে, আমাদের জানাবেন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

Scroll to Top