পয়লা বৈশাখের দিনই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করা হবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী:
পয়লা বৈশাখের দিনই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করা হবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বাংলা দিবসের প্রস্তাব পাশ হল। এদিন বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। তবে বিজেপির বিধায়করা পালটা রাজ্যপালের কাছে জানিয়ে এসেছেন তাঁরা চান ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবাস হিসাবে ঘোষণা করা হোক।তাঁরা কোনওভাবেই পয়লা বৈশাখকে বাংলা দিবস হিসাবে মানবেন না। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বক্তব্য রাখার পরই প্রস্তাব পাশ বলে ঘোষণা করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ১৬৭-৬২ ভোটে প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। একজন অনুপস্থিত ছিলেন। অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ ‘বাংলা দিবস’ পালিত হবে বলে প্রস্তাব পাশ হয়। মমতা বলেন, ‘১৯৪৭ সালের ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠিত-ই হয়নি। কারণ অবিভক্ত বাংলা ছিল তখন। এখন ১ বৈশাখ বাংলা ক্যালেন্ডারে বছরের প্রথম দিন। সেদিন হালখাতা হয়। নতুন ব্যবসার শুভ প্রতিষ্ঠা করে মানুষ। যে কোনও শুভ কাজের উদ্বোধন করে মানুষ। শুভ কাজ করে। নবান্নের বৈঠকে ১ বৈশাখেই সায় মেলে। বেশিরভাগ প্রতিনিধি এই প্রস্তাবে সায় দেয়। তাই বাংলা দিবস হিসাবে পয়লা বৈশাখ ও বাংলার সঙ্গীত হিসাবে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে পালন করার জন্য প্রস্তাবকে সমর্থন করছি। তিনি আরও বলেন ”একটা রাজনৈতিক দল আছে, তাঁরা আগেই বলে গেলেন যে তাঁরা রাজভবন যাবেন। যাতে সই না করেন। না করতে পারেন। কিন্তু জোর করে চাপিয়ে দেবেন না। কে সমর্থন করল, না করল কিছু যায় আসে না। আমাদের নির্দেশ থাকবে, ১ বৈশাখ আমরা রাজ্য দিবস পালন করব। আর ‘বাংলার মাটি বাংলা জল’কে ‘রাজ্য সংগীত’ করতে চাই। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। ওরা বলছেন, রাজ্যপালকে সই করতে দেবেন না। রাজ্যপাল সই না করলে কিছু যায় আসে না। দেখি কার শক্তি বেশি! রাজ্যপালের শক্তি বেশি নাকি জনতার শক্তি বেশি। যাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে কোনও অবদান ছিল না তারাই আবার এসব নিয়ে কথা বলছেন।










