রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে বাধা। অভিযোগ বিজেপি বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। তবে পুলিশের সামনে জমি জরিপের পর ফের সরকারি প্রকল্পের কাজ শুরু হলে, অভিযুক্ত বুথ সভাপতি বললেন, সরকারি প্রকল্পের কাজে বাধা তিনি দেননি। বরং সহযোগিতা করেছেন।
ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরনো হালদার পাড়ার। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকায় বিজেপির জয়ের পর থেকেই শুরু হয়েছে নানারকম উৎপাত। উন্নয়নমূলক রাজ্য সরকারি প্রকল্পে বাগড়া দিচ্ছে বিজেপি।’ এবার সরকারি রাস্তার কাজে বাধা দিয়ে কাঠগড়ায় তাদের বুথ সভাপতি দীনবন্ধু হালদার।
ওই এলাকায় নৃসিংহপুর পুরনো হালদার পাড়া প্রাইমারি স্কুলের পিছন দিয়ে যাওয়া রাস্তাটির দশা বেহাল– বৃষ্টিতে জল জমে, যাতায়াত হয়ে পড়ে বিপজ্জনক, অসুস্থ মানুষকে কোলে করে নিয়ে যেতে হয় মূল সড়কে। অথচ এমন একটি রাস্তার উপর নিত্যদিন নির্ভরশীল শ’দেড়েক পরিবার। দুর্দশা নিরসনে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি রাজ্য সরকারের পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তাটি প্রশস্ত করে ঢালাই করার কাজে হাত দিয়েছে সম্প্রতি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিজেপির বুথ সভাপতি দীনবন্ধু হালদার ওই রাস্তার কিছু অংশের জমি দখল করে বেড়া দিয়ে দিয়েছেন। রাস্তার কাজে বাধাও দিচ্ছেন তিনি। এরই জেরে রবিবার শুরু হয় বাগবিতণ্ডা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দ্বিজেন মাহাতো। স্থানীয়রা তাঁর কাছে দাবি তোলেন, ‘যথা-নিয়মে জমি মেপে যত শীঘ্র সম্ভব, রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে।’
অশান্তি যখন চরমে, তখন ওই এলাকায় পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। তাদের সামনেই জমি জরিপ করে ফের শুরু হয় পথশ্রী প্রকল্পের কাজ।
দীনবন্ধু মাহাতো অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর তরফে সরকারি প্রকল্পের কাজে কোনও বাধাই দেওয়া হয়নি। বরং রাস্তা যাতে ঠিকঠাক হয়, সে’ব্যাপারে সচেষ্ট হয়েছিলেন তিনি। দীনবন্ধুর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ করছে এলাকার তৃণমূল সমর্থকরা। আবার বিজেপির মহিলা মোর্চার তরফে তৃণমূলকে নিশানা করে তোপ, ‘রাজ্যের শাসকদল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়িক স্বার্থে রাস্তা চওড়া করতে চাইছে। রাস্তা নির্মাণের টেন্ডার পাওয়া ইঞ্জিনিয়ারকেও হুমকি দিয়েছে তারা।’
বিজেপির এই দু’রকম বয়ানে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ঠিক কী ঘটেছে, তা তদন্তসাপেক্ষ– মনে করছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। তবে তাদের সক্রিয়তায় রাস্তা সংস্কারের কাজ ফের শুরু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী।










