নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট:
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর জামিন খারিজ। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘এই মুহূর্তে জামিন দিলে ইডির তদন্তে প্রভাব পড়বে। এই যুক্তি দেখিয়ে মানিকের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে মেধাতালিকা তৈরি করে জেলায় পাঠানো হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সেই তালিকা অনুসারে নিয়োগ না করলে তার দায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ওপর বর্তায় না। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনার আমলে কত নিয়োগ হয়েছে। মানিকবাবু জানান, প্রায় ৪৪০০০। বিচারপতি জানতে চান, তার মধ্যে কতজন ভুয়ো বেরিয়েছে? মানিক বলেন, ৯৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেনি পর্ষদ। তার পরও তাদের নিয়োগ করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর আদালতে মানিক ভট্টাচার্য সওয়াল করে বলেন, ‘আমার নাম করে কেউ টাকা নিলে আমার কী করার আছে? তাতে কী ভাবে প্রমাণ হয় যে টাকা আমিই নিতে বলেছি?’ রাতভর ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। কবে? গত বছরের ১১ অক্টোবর। এখনও ইডির হেফাজতে রয়েছেন তিনি। দুর্নীতি মামলা চার্জশিটে নাম ছিল মানিক-জায়া শতরূপা ও ছেলে সৌভিকেরও। দু’জনকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ৬ মাস বন্দি থাকার পর, অবশেষে জামিন পেয়েছেন মানিক-পত্নী। ১ লক্ষ টাকা বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষই । হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘আবেদনকারী নিজে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সঙ্গে যুক্ত নন। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য। বয়ানে অসঙ্গতি ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতার অভিযোগে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিককে গ্রেফতার করেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। তারপর থেকে টানা জেলবন্দি হয়ে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য।









