৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নবান্ন অভিযান ঠেকাতে তৎপরতা, দূরত্ব রাখছে সিপিআইএম

High News Digital Desk:

কলকাতা : আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নারকীয় হত্যালীলার পর কেটে গিয়েছে ২ সপ্তাহ। এখনও ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে বাংলা। শাসক থেকে বিরোধী, সামাজিক সংগঠন থেকে অরাজনৈতিক সংগঠন – প্রতিবাদে সামিল সবাই।

২৭ আগস্ট এই আবহেই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে একটি সংগঠন। সংগঠনের নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’। প্রস্তাবিত সেই নবান্ন অভিযান ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। সংগঠনের দাবি, তারা কোনও রাজনৈতিক দলের অংশ নয়। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যানারে মিছিল হবে। নির্যাতিতার হত্যার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নির্যাতিতার সুবিচার, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ – এই ৩টি দাবি নিয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের’ নবান্ন অভিযান। রাজনীতির লোকেরা দলীয় পতাকা ছাড়া যদি ওই মিছিলে যান, তাহলে তাঁদেরও স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

এমতো নবান্ন অভিযান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, সম্পূর্ণ ভুল বুঝিয়ে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষকে ক্ষেপিয়ে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে বিরোধীরা। বিরোধী দলগুলো সরাসরি না থাকলেও তাদের পরোক্ষ মদত রয়েছে ওই কর্মসূচিতে। বিজেপি ও সিপিআইএমের দিকেই আঙুল তুলছে তৃণমূল। মঙ্গলবার, ইউজিসি নেট পরীক্ষার দিনেই নবান্ন অভিযান কর্মসূচি। সেই প্রসঙ্গ টেনে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ সংগঠনকে কটাক্ষ করেছে শাসক দল।

তৃণমূলের এইসব দাবি-অভিযোগ ও কটাক্ষ উড়িয়ে দিয়েছে বিরোধীরা। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, ওই কর্মসূচির সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ দাবি করেছে, বাম যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় থাকবেন প্রস্তাবিত নবান্ন অভিযানে। মীনাক্ষী অবশ্য বলেছেন, ওই অভিযানের সঙ্গে তাঁদের সংগঠনের কোনও যোগ নেই।

বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও জানিয়েছেন, বিজেপি নবান্ন অভিযান করছে না। তবে ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের আইনি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তা তাঁরা দেবেন। কিন্তু বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আহ্বানে নবান্ন অভিযান। সমর্থন রয়েছে তাঁর। যদিও তিনি নিজে থাকবেন কিনা, সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট মন্তব্য করেননি শুভেন্দু।

নবান্ন অভিযান নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে প্রশাসনের অন্দরে। মঙ্গলবারের ওই কর্মসূচি ঘিরে প্রচুর পুলিশ মোতায়ন করা হচ্ছে। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সুপ্রতিম সরকার মনে করিয়ে দিয়েছেন, নবান্ন এলাকায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা তথা আইপিসির ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকে। সেখানে কোনও কর্মসূচির জন্য পুলিশের কাছে কেউ অনুমতিও চায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

কলকাতা শহরে বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার ইউজিসি নেট দিতে আসা কোনও পরীক্ষার্থী অসুবিধায় পড়লে স্থানীয় থানায় অথবা কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের জানানোর নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন।

Scroll to Top