ধর্নায় বসলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-সহ কর্মসমিতির কয়েকজন সদস্য:
আবারও শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রদের হাতে ‘অপমান ও হেনস্থার’ প্রতিবাদে ধর্নায় বসলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-সহ কর্মসমিতির কয়েকজন সদস্য। পড়ুয়াদের আচরণকে একপ্রকার ‘র্যাগিং’ বলে অবস্থান-এ বসে পড়লেন উপাচার্য। এতদিন পড়ুয়াদের ধর্না, বিক্ষোভ, মিছিল ছিল অত্যন্ত চেনা বিষয়। এবার সেই পথেইহাঁটালেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তাঁর সঙ্গে অরবিন্দ ভবনের বারান্দায় অবস্থান-এ বসেছেন সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, একাধিক ডিন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ছিল কর্মসমিতির বৈঠক। কিন্তু সেই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সব বিষয়ে আলোচনা করে ওঠা সম্ভব হয়নি। সেই দিনের বৈঠক শেষে ফের কবে ইসি-র বৈঠক হবে, তাও জানাননি অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। এরপর বুধবার দুপুরে হঠাৎই ডাকা হয় ইসির বৈঠক। সেই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রমৃত্যু এবং ডেঙ্গি ছাড়া, অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা। অভিযোগ, বৈঠক শুরু হতেই স্লোগান দিতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বুদ্ধদেব সাউয়ের দাবি, ইসি চলাকালীন টানা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ধরে তাঁদের ছাত্র নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এই ধর্নায় বসেন তাঁরা। সারারাত তাঁরা ধর্না দেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের গাড়ি বারান্দায় সামনে ধর্নায়। উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “আমরা তো পড়ুয়াদের উপর গায়ের জোর দেখাতে পারব না। সেই কারণে শান্তভাবে অবস্থান করছি। আশা করি পড়ুয়ারা শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবেন।” রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “কালকে রাত তিনটে থেকে বসে রয়েছি। আজ সকাল হয়ে গিয়েছে। আমাদের কাছে মূলত হস্টেলের ছাত্ররাই এসেছিল। তাঁদের বক্তব্য আমাদের সব কমিটিতে তাঁদের প্রতিনিধি রাখবে। সব কটাতে পড়ুয়াদের প্রতিনিধি রাখা সম্ভব নয়।”কয়েক মাস আগে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ব়্যাগিংয়ের জেরেই ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। তদন্তে নেমে বেশকয়েকজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। সেই ঘটনার পরেই যাদবপুরে সিসিটিভি বসানোর কাজও শুরু হয়। এরই মাঝে এবার ধরনায় উপাচার্য।








