কলকাতা : কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নির্মম হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা রাজ্য। ২ সপ্তাহ পার হতে চললেও কিনারা হয়নি ঘটনার। শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল সমস্ত রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন।
১৬ আগস্ট শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের সামনে ধরনা কর্মসূচি ছিল বিজেপির। কলকাতা পুলিশ অনুমতি দেয়নি সেদিনের সেই অবস্থান-বিক্ষোভের। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিজেপি। অবশেষে মঙ্গলবার সেই অনুমতি আদায় করেছে তারা। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বুধবার থেকে পরবর্তী ৫ দিন, দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিতে কোনও বাধা নেই। সেইমতো বুধবার থেকে আরজি কর হাসপাতালের নির্মম ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান শুরু করল রাজ্য বিজেপি। প্রথম দিন একমঞ্চে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিজেপির চিফ হুইপ শঙ্কর ঘোষ, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য, রুদ্রনীল ঘোষ প্রমুখ নেতাদের।
কলকাতা জুড়ে অব্যাহত প্রতিবাদ। এদিনই কলেজস্ট্রিট থেকে লালবাজার পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নানের মতো নেতারা। প্রাক্তন ক্রীড়াবিদদের মিছিল হয় গোষ্ঠপালের মূর্তির সামনে থেকে। সন্ধে ৭টা নাগাদ বেহালায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের পদযাত্রা।