কলকাতা : একেবারে আলাদা কায়দায় প্রতিবাদ| যদিও পদ্ধতি-প্রকরণ ঘিরে বিতর্ক উঠতে পারে| সৌজন্যে বিজেপি যুব মোর্চা| আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-তরুণীর নারকীয় হত্যার প্রতিবাদে গত একমাসেরও বেশি সময় জুড়ে অনেক ধরনের বিক্ষোভেরই সাক্ষী হয়েছে মহানগর| কিন্তু বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিবাদ হয়ে রইল সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার|
ধর্মতলার ধরনা মঞ্চ রাঙিয়ে উঠল আক্ষরিক অর্থেই রক্তরাগে| সেখানে কী করল বিজেপির উপস্থিত যুবশক্তি? সুবিচারের দাবি তো ছিলই| রইলও স্বমহিমায়| তার সঙ্গে পোস্টার লেখা হল একই দাবিতে| কিন্তু পোস্টার লেখা কি আদৌ নতন কিছু? যেকোনও দাবিদাওয়ায় সেটাই দস্তুর| বিক্ষোভ-প্রতিবাদ মানেই পোস্টার আর স্লোগান| তাহলে আলাদা কী এমন ঘটল? বিজেপির যুব মোর্চার ধরনা মঞ্চে নতুনত্ব কোথায়?
নতুনত্ব শুধু নয়, বিজেপির যুব কর্মীদের কাণ্ডকারখানা শিউরে ওঠার মতো| সিরিঞ্জে রক্ত ভরে, তা দিয়েই তাঁরা সারলেন পোস্টার লেখার কাজ! হাত লাগালেন সকলেই| নিজের রক্ত দিয়ে একই কাজ করতে দেখা গেল বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁকে|
ধর্মতলার ধরনা মঞ্চে বিজেপির এমন কাণ্ডকারখানায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কী বোঝাতে চাইলেন গেরুয়া শিবিরের যুব প্রতিনিধিরা? হয়ত নিহত নির্যাতিতার উপর যে সীমাহীন অত্যাচার নামিয়ে এনেছিল এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত, সেই অত্যাচারের যন্ত্রণাকে নিজেদের রক্তে লেখা পোস্টারে তীব্র আকার দিতে চাইলেন তাঁরা| হতে পারে| হয়ত বিজেপি শিবিরভুক্ত যুবকদের আত্মলাঞ্ছনায় রক্তাক্ত পোস্টারগুলি এ শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দেখাতে চাইল বেআবরু করে| হতেই পারে| কিন্তু প্রতিবাদ বা বিদ্রোহের প্রকাশ এতটা উদগ্র ও চড়া দাগের হওয়ার সঙ্গত কোনও কারণ আছে কি এক্ষেত্রে, যেখানে হত্যালীলার ঘটনাটিই যথেষ্ট মর্মান্তিক ও মর্মবিদারী? প্রশ্ন জাগছে মহানগরের অনেক বাসিন্দাদের মনে|