কলকাতা : ‘রাত ৩টে থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত একজন কর্তব্যরত চিকিৎসককে কারও প্রয়োজন হল না?’ গুরুতর প্রশ্ন তুললেন আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে নিহত নির্যাতিতার বাবা। সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI)-কে তিনি জানিয়েছেন, ‘সকাল ৮টা ১০ নাগাদ আমার মেয়ে কাজে গিয়েছিল। ওই হাসপাতালের বহির্বিভাগে কাজ ছিল ওর। সেখানকার কাজ শেষ হতে বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে ৬টা বেজে যেত। বিকেল ৫টায় ওর মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিল। তারপর আবার রাত সোয়া ১১টায় কথা হয়েছিল। বলেছিল, “আমাদের চারজনের খাবার এসেছে। আমরা খাচ্ছি। তোমরা খেয়ে-দেয়ে শুয়ে পড়ো। এরকমই কথাবার্তা হতো। সকালে আমি বাড়িতে ছিলাম না, কাজে গিয়েছিলাম। অন্যান্য দিন সকালে মা-মেয়ের কথা হতো। সেইমতো ওর মা বারবার ফোন করেছিল। রিং হচ্ছিল কিন্তু কেউ ধরেনি… তখন তো আমার মেয়ে শেষ হয়ে গিয়েছে!”
এই পর্যন্ত বলেই নিহত নির্যাতিতার বাবা এএনআই-কে বলেছেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় খটকা এটাই লাগছে যে, রাত ৩টে থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত – একজন চিকিৎসক, যে কর্তব্যরত, তাকে কোনও কাজে কারও প্রয়োজন পড়ল না!’ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক মেয়ের সঙ্গে কিছু একটা সমস্যা চলছিল বলেও মনে করছেন তাঁর বাবা। ওই হাসপাতালের পুরো ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করছেন তিনি।
নিহত নির্যাতিতার বাবার আরও প্রতিক্রিয়া, ‘রাস্তায় যারা বিক্ষোভ করছে, তারা আমার সন্তানসম। আমার এক মেয়ে চলে গিয়েছে, এত কোটি ছেলেমেয়ে আমার কাছে এসেছে। ওরা আমার বলভরসা খুব বাড়িয়ে দিয়েছে। এইজন্য মনে হচ্ছে, সুবিচার আমি পাবই।’
তবে আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি হননি নিহত নির্যাতিতার বাবা। বিষয়টি বিচারাধীন বলে নিরুত্তর থেকেছেন তিনি।