৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দীঘা-মন্দারমনি-বকখালিকে পিছনে ফেলে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা নগেন্দ্রপুরে তৈরি হচ্ছে ‘মুক্তি পার্ক’

High News Digital Desk:

দীঘা-মন্দারমনি-বকখালিকে পিছনে ফেলে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা নগেন্দ্রপুরে তৈরি হচ্ছে ‘মুক্তি পার্ক’ :-

নিজস্ব সংবাদদাতা: কে বলে আমরা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করি? কি নেই আমাদের? প্রশ্নগুলো করছেন সুন্দরবন অঞ্চলের বহু এলাকাবাসী| পর‌্যটন ক্ষেত্র বা পার্কের ক্ষেত্রে নগেন্দ্রপুর যে বহু ঐতিহ্যবাহী জায়গাকে হার মানাবে, তা বলাই বাহুল্য| আশ্চর‌্যের বিষয়, নগেন্দ্রপুরের মনি নদী সংলগ্ন ‘মুক্তি পার্ক’ বর্তমানে সকলের নজর কেড়েছে| না! এই পার্কে ঢুকতে গেলে কোনও পয়সা লাগে না| এই পার্কে ঢুকলেই আপনার চোখে পড়বে নানান রঙের ফুলের বাগান, আর নদীর ধারে রাস্তা বরাবর রয়েছে ড্রাগন ফলের চাষ| সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে প্রায় ২০ ফুট উঁচুতে তৈরি হওয়া মাটি-খড় ও বাঁশ-দড়ি দিয়ে তৈরি উন্নতমানের বিভিন্ন ঘর, যা অনায়াসে শহরের অট্টালিকাকে হার মানাবে|’মুক্তি’ ফাউন্ডেশনের বোর্ড অফ ডিরেক্টর শঙ্কর হালদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই পার্কের সমস্ত ঘরগুলি সুন্দরবনবাসীদের কাছে মডেল হিসেবে তৈরি হয়েছে| যেহেতু সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ইয়াস, ৱুলৱুল, আমফান সহ একাধিক প্রাকৃতিক বিপর‌্যয়ে বারংবার প্লাবিত ও বিচ্ছিন্ন হয়েছে, ভেঙে গিয়েছে হাজার হাজার বাড়ি, সেহেতু বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানে গবেষণা করে তৈরি করা হয়়েছে এই সুন্দর ঘরগুলি| ঘরগুলি সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার পর‌্যন্ত ঝড়ের দাপটেও কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না| এমনকি জলের উচ্চতা বাড়লেও ঘরগুলিতে জল উঠবে না বলে দাবি করেন তিনি| নির্মাণের সময় কোনও পেরেক ব্যবহার করা হয়নি এই ঘরগুলিতে| পরিবেশবান্ধব কটেজ হিসেবে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় যথেষ্ট সমাদৃত হচ্ছে এই ‘মুক্তি পার্ক’| ঘরের ভিতরে সুন্দর করে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন আসবাবপত্র, এমনকি মাটির ঘরে এসিও বাদ যায়়নি|’মুক্তি’ ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য, ভাড়া দিয়ে এই ঘর থেকে অর্থ উপার্জন করা নয়| কেবলমাত্র সুন্দরবনের মানুষরা নিজের জায়গাতেই ‘মুক্তি’ ফাউন্ডেশন থেকে মাত্র ৩ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য নিয়ে এই সুন্দর বাড়িগুলি তৈরি করতে পারবে| সেখানে নির্ভয়ে বসবাসও করতে পারবে| যখন লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করে পাকা বাড়ি তৈরি করেও শান্তিতে বসবাস করতে পারছেন না সুন্দরবন এলাকার মানুষজন, মনের মধ্যে সবসময়ই আতঙ্ক গ্রাস করছে, তখন এই সুদৃশ্য ঘরগুলিতে অবলীলায় বসবাস করতে পারবেন তাঁরা| এমনকি অস্বচ্ছল পরিবারগুলিকে বাসস্থান তৈরি করে দিতে ‘মুক্তি’ ফাউন্ডেশন আর্থিক সাহায্য দিয়ে গ্রামের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় এই ঘর তৈরি করে দিচ্ছে| স্বভাবতই ‘মুক্তি’ ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন|

Scroll to Top