দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে দিল্লির দূষণ| ৫০০ ছঁয়ে ফেলল দিল্লির বায়ু দূষণের সূচক| রাজধানী দিল্লির অপর্যাপ্ত দূষণ চিন্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের| কিন্তু উদ্বেগের আওতায় রয়েছে সারা দেশের পরিবেশ| সদ্যসমাপ্ত উত্সবের মরসুমে গোটা দেশ জুড়ে বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে| উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সমস্ত রাজ্য তথা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়েছে| ওই চিঠিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাধারণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেও উন্নত করতে বলা হয়েছে| দূষণজনিত সমস্ত রোগের মোকাবিলা করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে সব ব্যবস্থা রাখতে বলেছে কেন্দ্র| ওই মর্মে চিঠি এসে পৌঁছেছে নবান্নেও| সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে চিঠিটি পাঠিয়েছেন সচিব পূণ্যসলিলা শ্রীবাস্তব| চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গত কয়েক বছরে দেশের বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে গিয়েছে| বস্তুত, শীতের মরশুমে বায়ুদূষণ যে আরও বড় আকার নিতে পারে সেই বিষয়েও আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠিতে| দূষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত ১৯ অক্টোবরেও একটি চিঠি রাজ্যের মুখ্যসচিবদের পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক| সেই চিঠিতে বলা বেশ কিছু পদক্ষেপকে এই চিঠিতেও বলা হয়েছে অনুসরণ করতে| স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে পরিবেশদূষণ সংক্রান্ত রোগের মোকাবিলার উপযোগী করে তোলার পাশাপাশি স্থানীয় ভাষায় জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিও নিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব| কারণ, বায়ুদূষণ থেকে যে সব রোগের প্রকোপ হয়, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং প্রবীণদের| তাই বায়ুদূষণ রোধ-সহ সেই সব রোগে আক্রান্ত হলে কী করণীয়, তা-ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরগুলিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে| শহর বা শহরতলি নয়, আগামী দিনে যে এই দূষণের প্রকোপ রাজ্যের গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতেও থাবা বসাবে, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে ওই চিঠিতে| তাই ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হিউম্যান হেলথ -এর অধীনে শহরতলি এবং জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করতে বলা হয়েছে| দিল্লিতে দূষণের মাত্রা যে ভাবে ছড়িয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র দেশের অন্যান্য প্রান্তের দূষণ রোধ করতে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারকে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিতে বলেছে| চিঠির সারমর্ম তেমনই বলে মনে করছেন নবান্নের আধিকারিকরা| প্রসঙ্গত, কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে শারদ উত্সব থেকে শুরু উত্সবের মরসুম বায়ুদূষণের মাত্রা ছাড়িয়েছে| কলকাতা পুরসভা শব্দবাজি ফাটানোকেই দূষণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে| সম্প্রতি কলকাতার দূষণবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বীকারও করে নিয়েছেন যে, অক্টোবর মাসে শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছিল| ময়দান লাগোয়া রেড রোড-সহ বড় রাস্তাগুলিতে সকালে জল ছড়ানোর কাজ শুরুও করেছে কলকাতা পুরসভা| কিন্তু তার পরেও কেন্দ্রের চিঠি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন|
দিল্লির দূষণ নিয়ে নাজেহাল কেন্দ্র, সব রাজ্যকে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ









