মাথা নোয়ায়নি হার্ভার্ড। তাই শাস্তি এল ওয়াশিংটন থেকে।
বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ, শতবর্ষের ঐতিহ্য বহনকারী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়—সেই ক্যাম্পাসেই নাকি ‘অশান্তির বীজ’। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, প্যালেস্টাইন-সমর্থনে বিক্ষোভের ঢেউয়ে ইহুদি-বিরোধী বাতাবরণ ছড়াচ্ছে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ক্যাম্পাসে।
হার্ভার্ড ছিল সেই তালিকার একদম ওপরে।
সরকারের দাবি ছিল সোজাসাপটা—
শিক্ষাঙ্গনে হিংসার বাতাবরণ রুখতে নিতে হবে কড়া পদক্ষেপ। নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল:
🔹 ক্যাম্পাসে কারা কী ভাবছে, তার খোঁজ রাখতে হবে
🔹 পাঠ্যক্রম আর শিক্ষক নিয়োগে চাই সরকার-অনুমোদিত দৃষ্টিভঙ্গি
এতদিন যে শিক্ষা স্বাধীনতার বাতিঘর ছিল, সেই প্রতিষ্ঠানেই নাকি চাই “নিয়ন্ত্রণ”। আর সেখানেই আপত্তি হার্ভার্ডের।
হার্ভার্ড স্পষ্ট জানিয়ে দেয়—এই পথে হাঁটবে না।
সংবিধান যে অধিকার দিয়েছে, তার রাশ কেউ টানতে পারবে না।
আর ঠিক তার পরেই আসে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত।
✖ বন্ধ করা হয় হার্ভার্ডের ২২০ কোটি ডলারের আর্থিক অনুদান
✖ স্থগিত হয় আরও ৬ কোটি ডলারের একটি গবেষণা চুক্তি
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন এই সিদ্ধান্তে অটল—ক্যাম্পাসে যদি ইহুদি-বিরোধী মনোভাবের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ ব্যাবস্থা না নেয় তাহলে সরকারি সাহায্যও মিলবে না।
অন্যদিকে হার্ভার্ড জানিয়ে দিয়েছে—এই চাপের মুখে তারা মাথা নোয়াবে না।
যে প্রতিষ্ঠানে ইতিহাসে রচিত হয়, সেই প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মূল্যবোধ যখন হুমকির মুখে—তখন শিক্ষার মঞ্চেই শুরু হয় বড়সড় রাজনৈতিক যুদ্ধ। প্রশ্ন শুধু টাকা নয়, প্রশ্ন, ভবিষ্যতের উপর কার অধিকার থাকবে, তারও।









