২৩ কার্তিক ১৪৩২ রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২৩ কার্তিক ১৪৩২ রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫

টানা ৫৩ ঘণ্টা জেরার পর আটক মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান

High News Digital Desk:

টানা ৫৩ ঘণ্টা জেরার পর আটক মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান।:

টানা ৩ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার বাকিবুর রহমান। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির মামলায় কোনও অভিযুক্তের বাড়িতে এত সময় ধরে তল্লাশি চালাননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ৫৪ ঘণ্টা পর গ্রেফতার। রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়ে কিছুদিন ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির নজরে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তিনি থাকতেন বাগুইআটির একটি অভিজাত আবাসনে। শোনা যায়, এক মন্ত্রীর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তাঁর।  বুধবার থেকে বাকিবুরের বাগুইআটির ফ্ল্যাট, নদিয়ার একাধিক চালক ও আটাকলে তল্লাশি চালাচ্ছিল ইডি। বারিবুরের বাগুইআটির বাড়িতে টানা ৫৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালান তাঁরা। এর পর অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে গাড়ি করে তাঁরা সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুর ও তাঁর শ্যালকের অভিষেক বিশ্বাসের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি করে প্রচুর নগদ, ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। ইডির সঙ্গে গাড়িতে ওঠার সময় মন্ত্রী যোগ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও কোনও উত্তর দেননি বাকিবুর। শুধু জানান, তিনি ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীর বাড়িতে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। যা তদন্ত এগোতে সহযোগিতা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সেখান থেকেও নগদ ও নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্টও। জেরায় শ্যালক অভিষেক জানায়, উদ্ধার হওয়া সমস্ত টাকা জামাইবাবু বাকিবুর রহমানের। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, কেবল রাইসমিল কিংবা আটাকল নয়, কলকাতাতেই বাকিবুরের একাধিক রেস্তরাঁ, পানশালা ও হোটেল রয়েছে। এদিন ইডির গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুরকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা করবে ইডি। ধৃত ব্যবসায়ীকে জেরা করে নতুন কোন দুর্নীতির সন্ধান পান ইডির গোয়েন্দারা সেটাই দেখার। তদন্তকারীরা দেখতে চাইছেন, বাকিবুরের টাকা আর কীসে কীসে খেটেছে? আদৌ এই সব ক্ষেত্রগুলিতে বাকিবুরের নিজস্ব টাকা খেটেছে, নাকি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়েছিলেন? তবে তদন্তকারীরা এই বিষয়ে নিশ্চিত, দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে চালকলগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে। সেটি অনুব্রত মণ্ডলের তদন্তের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে। বীরভূমের একাধিক চালকলও এইভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির র‌্যাডারে ছিল। জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল একাধিক চালকলের মালিককে। বাকিবুরকেও ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্ষেত্রে।

Scroll to Top