ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে অনবরত। বইখাতা সব ভিজে একশা। ভাসছে মেঝে। গোটা ঘর জুড়ে স্যাঁতসেতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। তার চেয়েও বড় কথা, যেকোনও সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে ছাদ! জখম হওয়া বিচিত্র নয়, ঘটতে পারে প্রাণহানিও। শুনলে অবাক হবেন, আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের ভলকা চড়াইমহল শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শ্রেণিকক্ষের হাল ঠিক এমনই। প্রশ্ন হল, এই পরিস্থিতিতে কচিকাঁচাদের পড়াশুনো চলছে কী ভাবে? কী ভাবে আর! বৃষ্টি নামলে স্কুলের বারান্দায়, না নামলে আশপাশের খোলা জায়গায় চলছে পাঠদান। পড়ুয়াদের প্রাণের ঝুঁকি তো আর নেওয়া যায় না! শিক্ষকরাই বা প্রাণ হাতে নিয়ে আর কতদিন পড়াবেন এভাবে?
কুমারগ্রাম ব্লকের ভলকা-বারবিশা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শিশুশিক্ষা নিয়ে এতটাই ছেলেখেলা চলছে। সামান্য ক’দিনের ব্যাপার নয়, কয়েক বছর ধরে ভলকা চড়াইমহল শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের দশা একইরকম বেহাল। বিডিওকে বারবার মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। তিনি নাকি কথা কানেই তুলছেন না! অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার।
যথোপযুক্ত কক্ষের অভাবে খোলা আকাশের নিচে পঠনপাঠন এদেশে কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। এ তো আকচারই লক্ষ করা যায়। কিন্তু ঘোর বর্ষায় শিশুশিক্ষার্থীরা কি ভিজে ভিজে পড়াশুনো করবে? প্রশ্নটা কুমারগ্রামের বিডিও মশাইয়ের উদ্দেশে। প্রশ্নটা রাজ্যের শিক্ষা দফতরের উদ্দেশেও।