চতুর্থীতেও ভিড়ের নিরিখে ফের নয়া রেকর্ড কলকাতা মেট্রোর:
কলকাতা মেট্রোতে গিজগিজ করছে ভিড়। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। মেট্রো কর্তৃপক্ষের হিসাব বলছে, যাত্রীসংখ্যার নিরিখে গত বছরের ষষ্ঠীর ভিড়কে ছাপিয়ে গেল তৃতীয়া। সব মিলিয়ে সাত লক্ষের সীমা পেরল যাত্রীসংখ্যা। এবারেও ভিড়টা শুরু হয়েছিল মহালয়া থেকে, বাঁধ ভাঙতে থাকে দ্বিতীয়, তৃতীয়ার সন্ধ্যাতেই। চতুর্থীতেও ভিড়ের নিরিখে ফের নয়া রেকর্ড কলকাতা মেট্রোর। প্রসঙ্গত, প্রাক পুজোর ভিড় সামাল দিতে সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই চলেছে স্পেশ্যাল মেট্রো। রোজ মেট্রোতে প্রায় ৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করছেন। আর মহালয়াতে মেট্রোতে একেবারে বিপুল ভিড়। দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত ভিড়ের যে ছবি দেখা গিয়েছে তা দেখে মাথায় হাত অনেকেরই। মহালয়ায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত নর্থ-সাউথ করিডরে দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো স্টেশনগুলিতে ৪ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেছেন। দমদমেই ছিলেন ৪০ হাজার মানুষ। চতুর্থীর দিন বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত কলকাতা মেট্রোয় পা পড়েছে ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার মানুষের। তবে তৃতীয়ার দিন ভেঙে গিয়েছিল সমস্ত রেকর্ড। নর্থ-সাউথ মেট্রো ব্যবহার করেছিলেন ৭ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জন। দিনভর চলেছিল ২৮৮টি মেট্রো। শেষবার এই রেকর্ড তৈরি হয়েছিল ২০২২ সালের ১ অক্টোবর। সেবার ওই দিন ছিল ষষ্ঠী। ওইদিন মেট্রোতে পা পড়েছিল ৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৯০০ মানুষের দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে ২৮৮টি মেট্রো চলবে। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে চলবে ২৪৮টি মেট্রো। দশমীতে ১৩২টি মেট্রো চলবে। একাদশী থেকে ত্রয়োদশী পর্যন্ত ২৩৪টি মেট্রো চলাচল করবে। তবে প্রতিবারের মতো এবার রাতভর ৫-৬ মিনিট অন্তর পাওয়া যাবে মেট্রো পরিষেবা।তৃতীয়ায় সবথেকে বেশি ভিড় দেখতে পাওয়া গিয়েছে দমদমে। মঙ্গলবার শুধুমাত্র দমদম থেকে মেট্রো চড়েছেন ৭৫ হাজারের বেশি। একধাপ পিছনেই রয়েছে এসপ্ল্যানেড। সেখানে মেট্রো ধরেছেন ৫৪ হাজার ৮০০-র বেশি যাত্রী। পরেই রয়েছে রবীন্দ্র সদন। সেখান থেকে মেট্রো ধরেছেন ৪৪ হাজারের বেশি যাত্রী। কালীঘাটে প্রায় ৪৪ হাজার। পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর এবং দমদম-কবি সুভাষ মেট্রো পরিষেবা চালু হবে।