আজ মঙ্গলবার| পাড়ার জঙ্গল সাফ করবার দিন| না, সহজপাঠ মোটেই অত সহজ নয়| দিনহাটা পৌর এলাকায় জঙ্গল, থুড়ি, স্তূপীকৃত আবর্জনা এই মঙ্গলবারই সাফ হল বটে তবে তা এমনি-এমনি, কেবল পুরসভার সদিচ্ছায় হওয়ার ছিল না| হলে তো গত দু-আড়াই মাস ধরে ময়লার এমন পাহাড় জমবারই কথা নয় তাও আবার মহকুমা হাসপাতালের বাইরের বিভাগের সামনে! তাহলে হঠাত্ সুৱুদ্ধি উদয়ের রহস্য কী? কিছই না, ঠেলার নাম বাবাজি| তো সেই ঠেলাটা দিলেন কে? কে আবার! স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী|
রাজ্য জুড়ে পৌর পরিষেবায় শৈথিল্য নিয়ে সোমবার কঠোর অবস্থান নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| দেন কড়া বার্তা| তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে হাসপাতালের সামনে থেকে সমস্ত আবর্জনা সরিয়ে দিল দিনহাটা পুরসভা| শুধু কি তাই? সাফসুতরো হওয়ার পর এলাকা ঘুরে দেখতে ছটে এলেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী| এলেন পুরসভার অন্যান্য প্রতিনিধি ও দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের পদস্থ আধিকারিকরা| দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার রঞ্জিত মণ্ডল জানিয়েছেন, মাস দুয়েকের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে বাইরের বিভাগের সামনে নোংরা জমে ছিল| পৌর কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়ে পরিষ্কার করায় খুবই ভালো হল|
যা হল, তা তো ভালোই হল নিঃসন্দেহে| এখন প্রশ্ন হল, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান কড়া নির্দেশ না দিলে কি ঘুম ভাঙতে নেই? কিছদিন আগেও তো দিনহাটা পুরসভার অজুহাত ছিল, ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকার ফলে ময়লা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়! অগত্যা হাসপাতালে আসা রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজন নাকে রুমাল চেপেই যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছিলেন| সেই পরিস্থিতি থেকে রেহাই মিলল আপাতত| কিন্তু বড় কৌতহলের বিষয় হল, এখন হঠাত্ সেই ডাম্পিং গ্রাউন্ডটা কোথায় এবং কোন জাদুতে খুঁজে পেয়ে গেল দিনহাটা পুরসভা? আশ্চর্যের ব্যাপার নয়?
