রাজ্যের স্কুলের গ্রন্থাগারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই রাখা বাধ্যতামূলক হয়েছে। বইয়ের তালিকা পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। এই খবরে মুখর হয়েছেন নেটনাগরিকরা।
একটি বাংলা টিভি সংবাদ চ্যানেলে সোমবার সন্ধ্যায় এই খবর সম্প্রচার হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লাইক হয়েছে ২৫ হাজার। পড়েছেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার। একাধিকবার পোস্টটি শেয়ার হওয়ায় মোট পাঠক হয়েছে ২ লক্ষ ২৫ হাজার। সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া ও শেয়ার হয়েছে বেশ কয়েক হাজার।
শম্পা রায় লিখেছেন, “বাচ্চাগুলো এবার পাগল হয়ে যাবে।” বিজয়া নাগ লিখেছেন, “আর কী কী দেখতে হবে? শিব ঠাকুরের আপন দেশে,আইন কানুন সর্বনেশে। শিক্ষামন্ত্রী কবে উনার এই সব কীর্তি নিয়ে একটা নাটক লিখবেন প্রতীক্ষায় আছি। ব্রাত্য বসু কি শিক্ষক দের আন্দোলন বা শিক্ষকদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কি কোনো নাটক লিখবেন?”
বিপুল ঘোষ লিখেছেন, “দীপক ঘোষ এর বইটাও রাখা হোক। ওইটাতে তো ওনার সব কিছুই আছে।” নির্মল হাঁসদা লিখেছেন, “আর স্কুলের ছাত্র রা শিখবে এপাং ওপাং ঝপাং।
কুমার মনোজ লিখেছেন, “এটা কি ধরনের অত্যাচার রে বাবা”। বর্ষা শা লিখেছেন, “দিদি জানে পড়াশুনা শেষ করে দিলে এদের দিয়ে ভোট তোলাবে।
বিশ্বজিৎ হালদার লিখেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস খুন ছাড়া কোনো নির্বাচন জিততে পারে না।”
প্রবীর পাল লিখেছেন, “যেখানেই জমাত জিহাদী সংখ্যায় বেশি হয়। সেখানেই খুন ঝামেলা অশান্তির কারখানা হয়। তার উপরে আবার মুসলিম লীগ পার্টি তৃণমূলের আশীর্বাদ। এটাই স্বাভাবিক।”
দিলদার মহম্মদ লিখেছেন, “যারা গাজার ঐ ছোট ছোট শিশুদের হত্যার ছবি দেখে চোখের জল ফেলেছিলেন, তারা আজ দেখুন-আমার রাজ্যের ৯বছরের এক শিশু কন্যা কে হত্যা করে তৃণমূলের বিজয় মিছিল হচ্ছে!!
আখতার শেখ লিখেছেন, “এদের কিছু হবে না, madam বলবে ছোট ঘটনা!” সৌরভ চৌধুরী লিখেছেন, “২০২৫ এ ভোটে হিংসা সবথেকে বড় ধিক্কারজনিত কাজ মাননীয়া ১৪ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী তাও পরিবর্তন কিছুই হলোনা।”
অসি কুল লিখেছেন, “অভিষেক ব্যানার্জির বাচ্চা মেয়েকে গালাগাল দিয়েছিল বলে তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে শাস্তি পেতে হয়েছিল। আজ একটি নিষ্পাপ মুসলিম শিশু কন্যাকে হত্যা করা হলো শাস্তি কি কেউ পাবে ?” শরিফ শেখ লিখেছেন, “আজব রাজ্য। ভোট দিল মুসলমান, ভোটে জিতল মুসলমান, বিজয় উল্লাস মুসলমানের। বোমা লেগে মারাও গেল মুসলমান।….. মারছে মুসলমান, মরছে ও মুসলমান। এরা কবে বুঝবে?”
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বইগুলোর কয়েকটি হলো — ‘বিকেলটা হারিয়ে গিয়েছে’, ‘আমার পাহাড়’, ‘আমার জঙ্গল’, ‘চোখের তারা’, ‘জীবন সংগ্রাম’, ‘এক পলকে এক ঝলকে’, ‘কুৎসাপক্ষ’ ইত্যাদি। রাজ্যের ২,০২৬টি স্কুলের পাঠাগারে বই কিনতে ২০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই হিসেবে প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ১ লক্ষ টাকা। স্কুলগুলিতে বইয়ের তালিকাও পাঠানো হয়েছে।