৫ কার্তিক ১৪৩২ বুধবার ২২ অক্টোবর ২০২৫
৫ কার্তিক ১৪৩২ বুধবার ২২ অক্টোবর ২০২৫

খুশি সায়ন্তিকা-রেয়াত, রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ রাজ্যপাল

High News Digital Desk:

 

হল শপথ| রয়ে গেল বিতর্ক| শুক্রবার বিধানসভায় শপথ গ্রহণ করলেন বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়| শপথ নিলেন ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকারও| প্রায় একমাস পর কাটল জট| তবে রাজ্যপালের নিয়োগ করা প্রতিনিধি বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করাননি| আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে শপথ পড়িয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়| তবে এতেই আরও তীব্র হল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত| ওই শপথগ্রহণের পরপরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর এক্স (X) হ্যান্ডলে লেখেন, এই শপথ অসাংবিধানিক| বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে নিজস্ব রিপোর্ট জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি| অন্যদিকে, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিধানসভার রুল মেনেই যা করার করেছেন| স্পিকারের বক্তব্যেরও পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যপাল| তাঁর যুক্তি, রুল কখনই সংবিধানের ঊর্ধ্বে নয়| এবিষয়ে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম বিধানসভায় শপথগ্রহণ করতে| এই জটিলতা অপ্রয়োজনীয়| শেষ ভালো যার, সব ভালো তার| পাশাপাশি, শপথ নিয়ে রেয়াত জানিয়েছেন, রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ায় আমি খুশি| আমরা আগেই রাষ্ট্রপতিকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম| রাজ্যপালের এক্স বার্তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিধানসভার স্পিকার|

চলতি বছরের ৪ জুন ফল ঘোষণা হয় উপনির্বাচনের| তারপর ১ মাস ১ দিনের মাথায় শপথ নিলেন ২ বিধায়ক| শপথ নিতে বিধানসভায় ধর্নাও দিতে হয়েছে তাঁদের| এই নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই নষ্ট হয় সময়, সাম্প্রতিক কালে যা নজিরবিহীন| জগদীপ ধনখড়ের সময়েও বিধায়কদের শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে মতপার্থক্য ছিল| তবে কখনই তা ধর্না পর্যন্ত গড়ায়নি| এক্ষেত্রে নবনির্বাচিত ২ বিধায়ককে রাজভবনে শপথ নিতে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল| কিন্তু তাতে সম্মত ছিলেন না সায়ন্তিকা-রেয়াত| তাঁরা চেয়েছিলেন, শপথ হোক বিধানসভায়| শেষপর্যন্ত সায়ন্তিকাদের সেই ইচ্ছা পূরণ হল ঠিকই, বিধায়ক হিসেবে বিধানসভাতেই শপথ হল তাঁদের কিন্তু জারি রইল সংঘাত|

Scroll to Top