স্কুলের ছাত্র| তার হাতে কী কী থাকতে পারে? বইখাতা, পেন, পেনসিল – এইসবই তো? কিন্তু ছাত্রের হাতে যদি বন্দুক দেখেন? যদি দেখেন, বন্দুক হাতে ক্লাসরুমে বসে রয়েছে ছাত্র? কী মনে হবে সেক্ষেত্রে? রীতিমতো তাজ্জব বনে যাবেন তো? তা বনবারই কথা| মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের লোকজনও তাজ্জব বনে গিয়েছেন| ওই এলাকার আন্দুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যে তেমন ঘটনাই ঘটেছে!
ভোটের আগে রাজ্যের কোনও কোনও অংশে বোমা, গোলাগুলি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়া আজ আর বিচিত্র কোনও ব্যাপার নয়| কিন্তু পরিস্থিতি কতটা খারাপ হলে, বন্দুক হাতে ক্লাসরুমে বসে থাকতে পারে নবম শ্রেণির ছাত্র? ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার আন্দুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে| স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ| বন্দুক বাজেয়াপ্ত করেছে তারা|
প্রত্যেক দিনের মতো শনিবারও ক্লাস চলছিল রেজিনগরের আন্দুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে| হঠাত্ ছন্দপতন| নবম শ্রেণির ২ ছাত্রকে বন্দুক নিয়ে ব্যস্ত হতে দেখা যায়| সেই দেখে সহপাঠীরা তো তটস্থ| অভিযোগ, বন্দুক দেখিয়ে ক্লাসের অন্য পড়ুয়াদের ভয় দেখাচ্ছিল ওই ২ পড়ুয়া|
এরপর বিষয়টি শিক্ষকরা জানতে পারেন| বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে অভিযুক্ত ২ ছাত্রের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়| স্কুলে পৌঁছন তাদের অভিভাবক| ততক্ষণে সেখানে পৌঁছে গিয়েছে রেজিনগর থানার পুলিশও| পুলিশ বন্দুকটি উদ্ধার করে| জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় ২ পড়ুয়াকে| আন্দুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম জানাচ্ছেন, পড়ুয়াদের থেকে খবর পেয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিইনি| পুলিশকে খবর দিয়েছি| ওই বন্দুক কোথা থেকে এলো, কী ভাবে এলো, তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখবেন|
ঘটনা কিন্তু হঠাত্ ঘটেনি| ২ দিন আগে স্কুলের গেটম্যান, জাহাঙ্গির মোল্লার সঙ্গে বচসা হয়েছিল ওই ২ পড়ুয়ার| গেটম্যানকে তারা প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ|
সেই হুমকির সঙ্গে এই বন্দুকের বিষয়টির কোনও যোগসূত্র আছে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়|
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পরিবারের কোনও সদস্যের কাছ থেকেই ২ পড়ুয়া বন্দুকটি সংগ্রহ করেছিল| সহপাঠী ও পরিচিতদের ভয় দেখাতে এই পরিকল্পনা বলেও জানা গিয়েছে| কিন্তু পরিবারের কোনও সদস্যের থেকে নাবালক পড়ুয়ারা কী ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে|