কোচবিহারের তিনটি মন্দিরে শৌচালয় নির্মান দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের :
মন্দিরে পুজো দিতে এসে ভক্তদের অনেকেই চান একটু হাত পা ধুয়ে নিতে। অনেকে আবার বহু দূর থেকে দর্শন করতে আসেন কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহনকে। তাদের প্রকৃতির ডাক আসা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই বাইরে থেকে মদনমোহনের কাছে আসা ভক্তদের সুবিধার জন্য শৌচালয় নির্মান করল দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড। শুধু মদনমোহন বাড়ি নয় কোচবিহার শহরের আরো দুটো মন্দিরে, ডাঙ্গর আই ও রাজমাতা মন্দিরেও সর্বসাধারণের জন্য শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে। তিনটিতেই পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই রয়েছে পৃথক ব্যবস্থা। সারা বছর মদনমোহন বাড়ি এবং ওই দুই মন্দিরে ভিড় লেগেই থাকে। শুধু শহর নয় বাইরে থেকেও আসেন বহু পর্যটক। পুরসভার পক্ষ থেকে একটি শৌচালয় আগে থেকেই মদনমোহন বাড়িতে ছিল। তবে সেটির অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল মন্দিরে আগত ভক্তদের। তাদের কথা মাথায় রেখেই এবার একদম আধুনিক শৌচালয় নির্মাণ করা হলো। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দপ্তর থেকে তিনটি শৌচাগারের জন্য সাড়ে তেরো লক্ষ টাকা অনুমোদন আসে। তা দিয়ে দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড এই শৌচালয় তিনটি নির্মাণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। যাতে শৌচালয় গুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেই কারণে এখানে ‘পে এন্ড ইউজ’ পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারবেন মন্দিরে আসা দর্শনার্থীরা।
জেলা শাসক পবন কাদিয়ান জানান, শুধু শৌচালয় নির্মাণই নয়, খুব শীঘ্রই মদনমোহনের ভোগ ঘরের রান্নাঘর গুলোও সংস্কার করা হবে। তার জন্য অনুমোদন এসেছে। টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। রান্নাঘরের মেঝের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাওয়ায় এবার রান্নাঘরগুলোর মেঝেতে টাইলস দেওয়া হবে। আর প্রতিটি ঘরে জলের কানেকশন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এজন্য খরচ হবে ৩.৫২ লক্ষ টাকা। প্রসঙ্গত, কদিন আগেই মদনমোহনের গর্ভগৃহ পুরো সংস্কার করেছে দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড। সেই কদিন মদনমোহন পাশের ঘরে পূজিত হয়েছিলেন। প্রায় ২৩ বছর আগে ওই ঘরটি সংস্কার করা হয়েছিল। সেই সময়ও মদনমোহনকে নিজের ঘর ছাড়তে হয়েছিল।