কুড়ির নিচে নামল শহরের তাপমাত্রা:
বৃহস্পতিবার আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। ১৫-১৬ ডিগ্রির ঘরে জেলার তাপমাত্রা। শীতের স্পেলে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে নিম্নচাপ। দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। যা সোমবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে আশঙ্কা। বাংলার তার কতটা প্রভাব পড়বে ? ২৫ নভেম্বর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত হাজির হতে চলেছে। ২৬ নভেম্বর নিম্নচাপে পরিণত হবে ঘূর্ণাবর্ত। ২৭ নভেম্বর নাগাদ গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস। নিম্নচাপের অভিমুখ এখনও স্পষ্ট নয়। কালীপুজো-দীপাবলী পার হয়ে গেলেও শীত যেন অধরা ছিল কলকাতায়। নভেম্বরে মাঝামাঝিতে এসেও পাখা চালাতে হচ্ছিল শহরবাসীকে। জগদ্ধাত্রী পুজোর পরই শহরে পারদ পতন শুরু হয়েছে। নভেম্বর শেষ হতে চললেও এখনও শীত ঢোকেনি। একদম ভোর আর রাতের দিকে ঠান্ডা লাগালেও শীতের মজা পায়নি বাঙালি। নিম্নচাপের মেঘ যেন বঙ্গের আকাশে ঘোরাফেরা করছে ভাইফোঁটার সময় থেকেই। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, কলকাতায় এই প্রথম পারদ এতটা নিচে নামল। অবশ্য জাঁকিয়ে শীতের পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আপাতত কোনও নিম্নচাপের লক্ষণ নেই। তাই আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া মনোরম থাকবে। কিন্তু দক্ষিণ আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে শীতের ইনিংস শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য জেলাগুলিতে। সেখানে কনকনে ঠাণ্ডা। যদিও দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় পারা পতন চলছে। পশ্চিমী জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আসানসোল, বর্ধমান, বোলপুরে বেশ ভালো ঠান্ডা। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকছে। ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ার তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রির ঘরে। সপ্তাহান্তেও এই আমেজ বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।










