কসবায় স্কুল ভবনের ৬ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হল দশম শ্রেণির এক পড়ুয়ার:
সোমবার স্কুলের ৬ তলা থেকে ঝাঁপ দেয় একই ছাত্র। কসবার বেসরকারি একটি স্কুলের ঘটনা।সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কসবার রানিকুঠিতে স্কুলের কাছেই ওই ছাত্রের বাড়ি। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে পরিবারের সদস্যরা তাঁর মৃত্যুর খবর পান। ওই ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছে নাকি পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সিলভার পয়েন্ট স্কুলের ওই ছাত্রের বাবার অভিযোগ তার ছেলের উপরে মানসিক নির্যাতন করা হতো। পাশাপাশি আজ তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। প্রতিদিনের মতো সোমবার স্কুলে আসে পড়ুয়া। এদিন দুটি প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল স্কুলে। কিন্তু দুটির মধ্যে একটি প্রজেক্ট নিয়ে যায় সে। দুটি প্রোজেক্ট তাঁর পক্ষে করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। পরিবারের দাবি সেই কারণেই নাকি গোটা ক্লাসের সামনে শিক্ষিকারা তাকে বকাবকি করে। আর তাতেই অপমানিত বোধ করে পড়ুয়া, আর তারপরই দুপুর ২টোয় ঘটে এই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ছাত্রটিকে খুন করা হয়েছে। তাদের যুক্তি ছাত্রের দেহে কোনও হাড় ভাঙেনি। শুধুমাত্র নাক থেকে রক্ত বেরনোর চিহ্ন রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে খুন করে আত্মহত্যার গল্প ফাঁদছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, কেন কাছের হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে দূরে মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। ছাত্রের মৃত্যুর পর একাদিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তদন্তে নেমে পুলিস স্কুলের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে দুপুর দুটো নাগাদ ওই পড়ুয়া পাঁচতলায় যাচ্ছে। পাঁচতলায় একটি রুমে ক্লাস চলছিল। তার পাশেই একটি নির্মাণ চলছিল। দুটো নাগাদই ওই পড়ুয়া নীচে পড়ে যায়। তার পর সাড়ে চারটে নাগাদ স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিসকে খবর দেয়।










