নয়াদিল্লি : ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপি সাংসদ তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। তবে এবার দলকে ঘোরতর বিড়ম্বনায় ফেলে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি, যার জেরে ভারতীয় জনতা পার্টির নয়াদিল্লি-স্থিত কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জারি করতে হয়েছে বিবৃতি।
হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভার সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশে যা ঘটেছে, এদেশেও তা ঘটতে খুব বেশি দেরি লাগত না, যদি না আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব এত শক্তিশালী হত। এখানে যে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল, তাতে লাশ পড়ে থাকত, ধর্ষণও হচ্ছিল।’
কঙ্গনা এখানেই থামেননি। তিনি আরও বলেছেন, ‘
‘যখন কৃষক-স্বার্থে আনা বিল প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্র, গোটা দেশ চমকে গিয়েছিল। কিন্তু কৃষকরা তারপরও সেখানে বসে রইলেন – কেউ জানলেনই না যে, ওই বিল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে! এর পিছনে দীর্ঘ পরিকল্পনা ছিল, যেমনটা বাংলাদেশে হয়েছে। আপনার কী মনে হয়, এই ধরনের ষড়যন্ত্র কৃষকরা করেছেন? না। ষড়যন্ত্র করেছে চিন, আমেরিকা। এইসব বিদেশি শক্তি এখানে কাজ করছে। আর এখানকার নাটুকে লোকজন মনে করে, দেশ জাহান্নমে যায়, যাক; আমাদের কারবার চললেই হল। কিন্তু এমনটা হওয়ার নয়। দেশ যদি জাহান্নমে যায়, তবে আপনিও সঙ্গে জাহান্নমেই যাবেন। এ’কথা এঁদের প্রতিদিন মনে করানো উচিত।’
কঙ্গনা রানাওয়াতের মন্তব্য সম্প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে জলঘোলা হতে শুরু করে দেশের রাজনৈতিক মহলে। বিশেষত হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন হওয়ায় নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অবশেষে নয়াদিল্লির ৬ নম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ থেকে প্রকাশ করা হল বিবৃতি। তাতে জানানো হয়েছে, ‘বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতের মন্তব্যের সঙ্গে সহমত নয় ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির তরফে তাঁর এই মন্তব্য অনুমোদন করা হচ্ছে না। কঙ্গনাকে দলের বিষয়ে বলবার জন্য কোনও ছাড়পত্রও দেওয়া হয়নি।’
প্রশ্ন উঠছে, দল হিসেবে বিজেপি না হয় কঙ্গনার মন্তব্য থেকে সরে দাঁড়াল, কিন্তু এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তার জন্য ওই সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করল কি? তা না করলে, হরিয়ানার ভোটে এর প্রভাব এড়ানো সম্ভব হবে আদৌ? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা গেরুয়া শিবিরের জন্য এ’বিষয়ে আশাপ্রদ মতামত দিতে পারছেন না আপাতত।







