লখনউ: মূর্তিমান বিভীষিকা! একটা নয়, তিন-তিনটে নেকড়ে! এরই মধ্যে ৭ শিশুর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ওরা। মারা গিয়েছেন ১ মহিলাও। বন দফতরের ২৫টি দল ৭০ ঘণ্টার উপর লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে। জাল, খাঁচা, ঘুম পাড়ানোর বন্দুক – কী নেই সঙ্গে! ৩টি ড্রোনে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হচ্ছে নেকড়েদের।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বহরাইচ (Bahraich) জেলার সিসিয়া (Sisiya)
গ্রামের আখ ক্ষেতে লুকিয়ে ঘাতক নেকড়েরা। চারিদিকে আতঙ্ক। শিশুরা গৃহবন্দি। বৃদ্ধবৃদ্ধা ও মহিলারা পারতপক্ষে বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না৷ যুবকরা বাইরে বেরোলেও সব সময় থাকছেন সশস্ত্র ও সজাগ। যে’কোনও সময় নেকড়েগুলো লোকলয়ে ঢুকে পড়ে ঘটাতে পারে অঘটন। অবশ্য অঘটনের বাকিই-বা রয়েছে কতটুকু? এর মধ্যেই কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ওরা! বন দফতর তাই মরিয়া। যেভাবে হোক, ধরা চাই হিংস্র ৩ নেকড়েকে।
না, ৩ নয়। আপাতত ২টোকে খাঁচায় ঢোকাতে হবে। কেননা, একটি নেকড়েকে ধরে ফেলেছেন বনকর্মীরা। সে এখন খাঁচার ভিতর চক্কর কাটছে। ছটফট করছে। বাকি ২ নেকড়ের একটির আবার পায়ে চোট আছে, জানাচ্ছেন নেকড়ে ধরার অভিযানে থাকা এক বনকর্মী। সুতরাং অভিযান এখনও শেষ হয়নি। বরং আরও তৎপরতায় বাকি ২ নেকড়েকে জালে ফেলতে হবে। কারণ, জখম নেকড়ে, প্রবাদ মেনে, আরও হিংস্র হয়ে উঠতে পারে।
আতঙ্কে থমথমে উত্তরপ্রদেশের বহরাইচের সিসিয়া ও আশপাশের গ্রাম। দিনরাত এক করে বন দফতরের অভিযানই এখন শেষ ভরসা।