কলকাতা : আরজি করের ঘটনার পর আরও সতর্ক কলকাতা পুলিশ। নজরদারি চলছে শহর জুড়ে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের তথ্য ও অতীত যাচাইয়ের কাজ চলছে। এবার কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি আরও সতর্ক ও সজাগ রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের নানা জায়গায় চলছে নাকা চেকিং। বিভিন্ন হাসপাতালে চলছে বাড়তি নজরদারি। কোনও ঘটনা ঘটলে, কী করণীয়, তার বিস্তারিত নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্য পুলিশ।
রাজ্য পুলিশ নির্দেশিকায় বলেছে :
- কোনও ধরনের অঘটন ঘটলে, সঙ্গে-সঙ্গে মামলা রুজু করতে হবে পুলিশকে।
- দ্রুত পৌঁছতে হবে ঘটনাস্থলে। পুলিশ সুপার বা সিপি পদমর্যাদার অফিসার যেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, তাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
- সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে।
- ময়নাতদন্ত করতে হবে এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে। পরিবারের লোককেও রাখতে হবে। ভিডিওগ্রাফি করতে হবে।
- ঘটনাস্থলের ভিডিয়োগ্রাফি করে রাখতে হবে। স্নিফার ডগ, ফরেনসিক এক্সপার্ট নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে হবে।
- পরিবারের এফআইআর নিতে হবে দ্রুত। প্রয়োজনে সুয়োমোটো কেস করে তদন্ত শুরু করতে হবে। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
- ফেক নিউজ এড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজরদারি চালাতে হবে। প্রয়োজনে সত্য তথ্য দিয়ে পাল্টা পোস্ট করতে হবে।
- সিজার লিস্টের সঙ্গে বয়ানের ভিডিয়োগ্রাফি করা ও তা সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক।
আরজি করের ঘটনায় সমালোচনার মুখে পুলিশের ভূমিকা। আদালতও প্রশ্ন তুলেছে পুলিশের তদন্ত নিয়ে। এর মধ্যে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য পুলিশ।
আবার কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকেও আলাদা করে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশিকায় রাতে নাকাতল্লাশিতে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক আধিকারিকের শরীরে ক্যামেরা লাগানো থাকে। সেই ক্যামেরায় রাতের প্রতি মুহূর্ত যাতে রেকর্ড হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
অনেকেই বলছেন পুরোনো নির্দেশিকা নতুন করে আবার কেন মনে করানো হচ্ছে? আরজি করের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে শুধুই কি নির্দেশিকা, নাকি এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করবে পুলিশ? উত্তর দেবে সময়।