নয়াদিল্লি : আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-তরুণীর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে উদ্বিগ্ন দেশের শীর্ষ আদালত। প্রতিবাদের এই ধরনের কর্মসূচিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা পরিষেবায়। চিকিৎসকদের এ’মতো প্রতিবাদ থেকে বিরত হওয়ার বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট।
পাশাপাশি, চিকিৎসককে তাঁর নিজের কর্মস্থলে যে মর্মবিদারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে, তাকে চরম ভীতিপ্রদ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে আদালত।
আরজি কর কাণ্ডে বিশেষ কয়েকটি অসঙ্গতির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এফআইআরে বিলম্ব তার মধ্যে অন্যতম। ফলত আগামী দিনে কলকাতা পুলিশকে এ’বিষয়ে বেকায়দায় পড়তে হবে, অনুমান। এছাড়া, ‘আত্মহত্যা’র তত্ত্ব নিয়ে জবাবদিহি করতে হতে পারে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকেও। তাঁকে অবশ্য এরই মধ্যে দিনের পর দিন, জেরার পর জেরা করে চলেছে সিবিআই (CBI)।
১৪ আগস্ট রাতে বিক্ষোভ চলাকালীন আরজি কর হাসপাতালে বিধ্বংসী ক্রিয়াকলাপ চলল কী ভাবে? সুপ্রিম কোর্ট এর উত্তর জানতে চায়। বৃহস্পতিবারের মধ্যে জবাব দিতে হবে রাজ্যকে। আপাতত আরজি কর হাসপাতালে সিআইএসএফ অথবা সিআরপিএফ মোতায়েন করতে বলেছে আদালত। পাশাপাশি, তদন্তের অগ্রগতি কোন পর্যায়ে, তা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই জানাতে হবে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ( Central Bureau of Investigation)-কেও। ওই দিনই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরের শুনানি।
কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষের জেরে জনস্বার্থ মামলায় সিবিআই-কে তদন্তভার দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আবার বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আরজি কর মামলা নিজের হাতে তুলে নিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এমতাবস্থায় নির্যাতিতার নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের প্রত্যাশা করছেন সকলেই।