অবৈধ নির্মাণ ভাঙলো পুরসভা :-
হেরিটেজকে ঢেকে গড়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলল কোচবিহার পুরসভা ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাচারি মোড় এলাকায়। ঐতিহ্যবাহী মুস্তাফি হাউস টু এর সামনে একটি বাড়ি তৈরি করা হচ্ছিল। প্রথমদিকে বোঝা না গেলেও, ক্রমে দেখা গেল সেই বাড়িতে ঢেকে দিচ্ছে মুস্তাফি হাউসকে। এরপরই নড়েচড়ে বসে পৌরসভা। ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেই নির্মাণ বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলে। তারপর বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোচবিহারের ১৫৪ টি স্থাপত্যকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এবং তারপর থেকেই হেরিটেজ শহর হিসাবে তুলে ধরার জন্য সেইসব স্থাপত্য সংরক্ষণ ও পুনর্নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। কাচারী মোড়ের পূর্ব দিকে এই মোস্তাফি হাউস টু রয়েছে। এই বাড়িটি হেরিটেজ ইতিমধ্যেই হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। আইন অনুযায়ী হেরিটেজ স্থাপত্যের ১০০ মিটারের মধ্যে কোন নতুন নির্মাণ করা যায় না কিন্তু এখানে কয়েক ফুটের মধ্যেই নতুন নির্মাণ শুধু গড়েই ওঠেনি বাড়িটিকে ঢেকে দিয়ে সেই নির্মাণ গড়ে উঠেছে। জানাজানি হতে পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিজে বাড়ির মালিক অলোক ব্যানার্জী মুস্তাফির সঙ্গে কথা বলেন এবং দুপক্ষের সম্মতিতেই তারপর পৌরসভা বাড়িতে ভাঙতে উদ্যোগী হয়। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিজিৎ মজুমদার জানান, এই ধরনের অবৈধ নির্মাণ কখনই মেনে নেওয়া যায় না যদি আবার কোথাও এরকম চোখে পড়ে সেই নির্মাণ আমরা ভেঙে ফেলতে বাধ্য হব।
প্রসঙ্গত, কোচবিহারের শহরের উপর বিভিন্ন জায়গাতেই এই ধরনের অবৈধ নির্মাণ হামেশাই চোখে পড়ে। কিন্তু পুরসভার তাতে খুব একটা উদ্যোগ দেখা যায় না। তা সে ড্রেন বুজিয়ে দোকান ঘর নির্মাণই হোক বা ড্রেনের ওপর শেড দিয়ে গাড়ির গ্যারেজ তৈরি করাই হোক। রাস্তায় বেরোলেই এই ধরনের জিনিস কুচবিহারবাসীর চোখে পড়তে বাধ্য। এতদিন ধরে কোনরকম উদ্যোগ কোন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নেয়নি। তাই ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় স্বভাবতই খুশি কোচবিহারবাসী। তাদের দাবি পাশাপাশি যেন অন্যান্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলরাও ড্রেনের উপর গজিয়ে ওঠা এই ধরনের অবৈধ নির্মাণ গুলো ভেঙে দেয়।