”অধিকারী পরিবারের সদস্যদের বলব, ওঁর জন্য পাত্রী খুঁজতে। বিয়ে করতে না পেয়ে ও বিয়েপাগলা হয়ে উঠেছে” : কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ:
কার্শিয়াংয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইপোর বিয়েতে যোগ দিতে। তবে অনুষ্ঠানের বাইরে তাঁর একগুচ্ছ সরকারি ও দলীয় কর্মসূচি রয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন উত্তরবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচিকে এড়িয়ে বিরোধী দল তুলে ধরছে কার্শিয়াংয়ে তাঁর ভাইপোর বিয়ের অনুষ্ঠানকে। এটাকে স্টেট স্পনসর্ড ম্যারেজ বলে এক্স হ্যান্ডলে কটাক্ষ করেছেন। এবার তাঁকে সেই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুর এই খোঁচার জবাবে তাঁর মন্তব্য, ”অধিকারী পরিবারের সদস্যদের বলব, ওঁর জন্য পাত্রী খুঁজতে। বিয়ে করতে না পেয়ে ও বিয়েপাগলা হয়ে উঠেছে।”এদিকে কেন শুভেন্দুকে বিয়ে দিতে চাইছেন কুণাল? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, চা–বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের দুঃখ–দুর্দশা দূর করার পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী মেতেছেন ভাইপোর বিয়ের উৎসবে। শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, কেন মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারিক অনুষ্ঠানে সরকারি চিকিৎসকদল ব্যবহার করা হচ্ছে? কুণালের বক্তব্য, প্রোটোকল অনুযায়ী চিকিৎসক দল রয়েছে। শুভেন্দুর পরের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রোটোকলের জন্যই যদি চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকবেন, তাহলে সেই দলে শিশু বিশেষজ্ঞ কেন আছেন? এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন শুভেন্দুর। আর তা নিয়ে এখন হাসির রোল উঠেছে।রাজ্যের ভাঁড়ারে টান রয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়েতে বিশাল খরচ করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা সেই বিবাহ অনুষ্ঠানে সরকারি পরিকাঠামো ব্যবহার করা হয়েছে অভিযোগ তুলে সরব হন। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়ে স্টেট স্পনসর্ড।’রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও কটাক্ষের সুরে বলেন, ”অধিকারী পরিবারের সদস্যদের বলব, ওর বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজতে। ও বিয়ে করতে না পেরে পাগল হয়ে যাচ্ছে। যে যেখানে বিয়ে করছে, ওমনি তার মনে হচ্ছে – আমিও বিয়ে করব। আরে, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়ে পাহাড়ি মেয়ের সঙ্গে। তাই তিনি উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। এর সঙ্গে স্টেট স্পনসর্ড ম্য়ারেজের কী সম্পর্ক?”